ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সংঘর্ষের সময় টাকশাল দিয়ে পা কেটে নেয়া সেই যুবক মারা গেছেন। তার নাম মোবারক হোসেন।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নবীনগর থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক রাজিব দাস মত ও পথকে তার মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতকাল রাতে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোবারক মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ গ্রামে আনা হচ্ছে।
গত রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার থানাকান্দি গ্রামে সংঘর্ষের সময় টাকশাল দিয়ে মোবারকের পা কেটে নেয়া হয়। পরে সেই কাটা পা নিয়ে বিজয় উল্লাস করেন প্রতিপক্ষের লোকজন। এমনই বীভৎস চিত্র দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকার মানুষ।
স্থানীয়রা জানায়, গ্রামের আবু মেম্বার ও মুসলিম মেম্বারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরেই সকালে মুসলিম মেম্বারের লোকজনের ওপর হামলা করে আবু মেম্বারের লোকজন। উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আবু মেম্বারের নাতি হাজির হাটির মোবারক হোসেনকে ধাওয়া করলে আত্মরক্ষার জন্য সে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তখন সন্ত্রাসীরা তার ডান পা টাকশাল দিয়ে গোড়ালি থেকে কেটে ফেলে। পরে সেই কাটা পা নিয়ে গ্রামের রাস্তায় রাস্তায় উল্লাস করে, মিছিল করে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় সেদিনই নবীনগর থানার উপপরিদর্শক মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় উভয়পক্ষের অর্ধ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান উপপরিদর্শক রুবেল। পরে মামলাটিতে ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।