স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) মতে, করোনার হটস্পট রাজধানীর কাছের জেলা নারায়ণগঞ্জ।
দেশের প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে এ জেলায়। তখন জেলা প্রশাসন তাৎক্ষণিক লগডাউন না করায় দ্রুত করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বর্তমানে দেশের অন্য যে কোনো জেলা থেকে নারায়ণগঞ্জে এর সংক্রমণ বেশি। এতদিন জনসাধারণের মধ্যে করোনার ভীতি খুব একটা না থাকলেও এখন তা মারাত্মকভাবে দেখা দিয়েছে।
এ কারণে নারায়ণগঞ্জের শিল্পাঞ্চল ফতুল্লা থেকে রাতের আঁধারে নানা কৌশলে বিভিন্ন জেলায় পালিয়ে যাচ্ছেন গার্মেন্টসকর্মীসহ অন্য সব কারখানার শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার রাতে পৃথক স্থান থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের নিজ নিজ বাসায় পৌঁছে দেয় পুলিশ। তবে তাদের বহনকৃত সাতটি পিকআপ, একটি ট্রাক ও একটি বাল্কহেড আটক করা হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় বাল্কহেডযোগে নদীপথে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার পথে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ধাওয়া করে প্রায় ৭২ যাত্রীকে আটক করা হয়।
পরে যাত্রীরা যেখান থেকে এতে উঠেছিল, সেখানে পৌঁছে দেয়া হয়েছে এবং ট্রলার ও বাল্কহেড আটক করা হয়েছে।
ওসি জানান, একই রাতে ফতুল্লার টাগারপার থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হওয়া যাত্রী ভর্তি তিনটি পিকআপ আটক করা হয়। এতে প্রায় দেড় শতাধিক যাত্রী ছিল।
তিনি আরও জানান, এ রাতেই মাউরাপট্টি থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে রওনা করা যাত্রীভর্তি চারটি পিকআপ আটক করা হয়েছে। এসব পিকআপে প্রায় দুই শতাধিক যাত্রী ছিল।
ওসি জানান, ফতুল্লার পঞ্চবটী থেকে কিশোরাগঞ্জ যাওয়ার পথে সাইনবোর্ড এলাকায় প্রায় ৬০ যাত্রীসহ একটি ট্রাক আটক করা হয়। সব যাত্রীকে যেখান থেকে উঠেছিল, সেখানে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি গাড়িই থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
আটককৃতরা বলেন, কাজকর্ম বন্ধ। তাই খাবারে যেমন সমস্যা, তেমনি এখানে থাকাও ঝুঁকি। তাই নিজ গ্রামের বাড়ি চলে যাচ্ছি। আটককৃতরা বেশিরভাগই রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর ও কুস্টিয়া জেলার বাসিন্দা।