করোনা ভাইরাসে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৯০ হাজার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

করোনায় মৃত্যু
ফাইল ছবি

করোনা ভাইরাসের মহামারি কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা জানে না কেউ। গত একদিনে করোনায় বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড গড়েছে। বুধবার সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আট হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যা এখন সর্বোচ্চ রেকর্ড। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৯০ হাজার মানুষ।

বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩৪ হাজার ৬১৬ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৮৩ হাজার ৩০৪ জন। অপরদিকে ৫ লাখ ১০ হাজার ৩৪১ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

universel cardiac hospital

গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে এই মহামারি শুরু হলেও এখন ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে। আক্রান্ত ও নিহতের সংখ্যায় সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৫২৯ জনের।

আক্রান্তের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে স্পেন। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮০ হাজার ৬৫৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৮১২ জনের।

মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ১৫৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৬৪৫ জনের। এ তথ্য জানিয়েছে করোনা ভাইরাস নিয়ে লাইভ আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার।

চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত তিন মাসে বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯)। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে।

করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নেয়া হয়েছে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। অধিকাংশ দেশেই মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে মানুষের চলাফেরার ওপর বিভিন্ন মাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। কোনো কোনো দেশে আরোপ করা হয়েছে সম্পূর্ণ লকডাউন, কোথাও কোথাও আংশিকভাবে চলছে মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম। এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকার প্রায় অর্ধেক মানুষ চলাফেরার ক্ষেত্রে কোনো না কোনো মাত্রায় নিষেধাজ্ঞার ওপর পড়েছেন।

স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর ব্যাপক চাপ পড়ার কারণে কিছুদিনের মধ্যেই অনেক দেশেই স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সরঞ্জাম ও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের ঘাটতি দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে