মহামারি করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। সারাদেশে এখন সাধারণ ছুটির আদলে লকডাউন চলছে। কিন্তু দিন যাচ্ছে আর বাইরে মানুষের আনাগোনা বাড়ছে। করোনার প্রকোপ বেশি হলেও অনেকেই এদিকে ভ্রুক্ষেপ করছেন না। তাই প্রশাসনকে আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান জানালেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলেছেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আমি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। আশা করি সবাই ভালো আছেন। অবশ্য দেশে এবং পুরো বিশ্বে যে পরিস্থিতি তাতে এখন ভালো থাকাটা খুব কঠিন। প্রায় এক মাসের মতো আমরা ঘরবন্দি অবস্থায় আছি। একটি কথা বলব বলব বলে কনফিউশনে ছিলাম। যেহেতু আমি বয়সে অনেক ছোট। গুরুজনরা অনেক কথা বলেছেন। মিডিয়ার খবরে, ফেসবুকে অনেক কিছুই দেখছি। কিছু কথা মনের ভিতরে ছিল অনেক দিন ধরে। একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করি।’
তিনি বলেন, ‘বিগত প্রায় ৬ মাস আমি ইনজুরিতে ছিলাম। তো ক্যালসিয়ামের ওষুধ খাওয়াটা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। গতকাল রাতে হঠাৎ এই ওষুধ শেষ হয়ে যায়। আমার বাসার পাশে মেডিসিনের দোকান। সেখানে গিয়েছিলাম ওষুধ আনতে। কিন্তু আজ আমি একটি বিষয় দেখে হতাশ হয়েছি। আজ প্রায় ৫-৭ মিনিট মতো আমি বাইরে ছিলাম। বাইরের অবস্থা দেখে আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে যে, করোনার যে নিয়ম কানুন আসলে আমরা তা ঠিকভাবে পালন করছি কিনা। ফেনীতে মানুষের চলাচল সবকিছুই স্বাভাবিক অবস্থার মতো। যদিও গাড়ি চলাচল কিছুটা কম।’
তিনি আরও বলেন, ‘খুব অবাক হয়েছি। সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মানুষের আনাগোনা। যদিও সন্ধ্যার পরে লকডাউন। বাইরে ভুতুড়ে পরিবেশ। আমি কাউকে ইঙ্গিত করে কিছু বলতে চাই না। কিন্তু দিনের বেলায় স্বাভাবিক আর সন্ধ্যার পরে স্ট্রিক্ট নিয়ম। এটা কেমন আমার জানা নেই। আমি প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করব, আপনারা আরেকটু কঠোর হোন। না হলে আমরা দিনে দিনে যে বিপজ্জনক অবস্থানে যাচ্ছি তাতে হয়তো আরো ভয়াবহ কিছু নিয়ে আসবে। আমাদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী দেশ এই করোনা মোকাবেলার জন্য হিমশিম খাচ্ছে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকারের একার পক্ষে কিছু করা সম্ভব না যদি আমরা সচেতন না হই। হ্যাঁ, অনেকের বিভিন্ন প্রয়োজন থাকতে পারে। তাতে ১০টা থেকে একটা বা দুইটা পর্যন্ত মানুষকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া যেতে পারে। কিন্তু ৯-৫টা পর্যন্ত মানুষ স্বাভাবিক ঘোরাঘুরি করছে, শপিং করছে। এভাবে করলে তো আমরা করোনা মোকাবেলা করতে পারব না।’