পুরো বিশ্ব এখন লড়ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিপক্ষে। বাংলাদেশেও করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এই যুদ্ধে সামনে থেকে যারা যুদ্ধ করছেন তারা হলেন চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। আর এই যোদ্ধাদের পেছন থেকে সাহায্য করে যেতে চান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
করোনা মোকাবেলার জন্য সাকিব তার সাকিব আল ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সহযোগিতা করছেন। ইতোমধ্যে এই ফাউন্ডেশনের একটি ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। ওয়েবসাইটের ঠিকানা হচ্ছে www.sahfbd.com। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সাকিব সকলকে তার ফাউন্ডেশনে অর্থ দানের জন্য অনুরোধ করেছেন।
সাকিব আল হাসান এখন স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখানে থেকে তিনি শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে আসেন।
এ সময় সাকিব বলেন, ‘আমার ফাউন্ডেশনে যে কেউ যে কোনো পরিমাণের অর্থ দিতে পারে। যার যেমন সামর্থ্য সে সেভাবে দিতে পারে। কারো ঘুরতে যাওয়ার টাকা থেকে কিছু বাঁচিয়ে, যাকাতের টাকা, টিফিন থেকে বাঁচানো টাকা। আমরা যদি সবাই মিলে অল্প অল্প করে সাহায্য করি তাহলে বড় অঙ্কের টাকা হবে। তা দিয়ে আমরা পিপিই বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অন্য কিছু কিনে সাহায্য করতে পারব, দরিদ্রদের সাহায্য করতে পারব।
তিনি বলেন, ‘আমি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। কিন্তু ইতিহাস থেকে পড়েছি অনেকে অনেকভাবে সামনের সারির মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছে। কেউ খাবার দিয়েছে, কেউ কাপড় দিয়েছে, কেউ তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছে। আমি চিকিৎসক না। সুতরাং, করোনা মোকাবেলায় আমি সামনে থেকে কাজ করতে পারব না। কিন্তু একজন পেছনের যোদ্ধা হিসেবে তো কাজ করতে পারব।’
করোনার এই সময়ে সাকিবও ঘরে বসে সময় কাটাচ্ছেন। কিন্তু কেমন করে কাটছে তার সময়? এ বিষয়ে সাকিব বলেছেন, ‘আমি করোনা সচেতনার সব নিয়ম অনুসরণ করছি। এর আগে বিভিন্ন সময় না খেয়ে অনেক স্যাক্রিফাইস করেছি। কিন্তু এখন একটু খাওয়া দাওয়া করছি। একটু মোটাও হয়ে গিয়েছি। পরিবারের সাথে সময় কাটাচ্ছি, ভালো লাগছে। আগে ব্যস্ততার কারণে পরিবারকে খুব বেশি সময় দেয়া হয়নি। এখন মনে হচ্ছে, অনেক কিছু মিস করে ফেলেছি।
সাকিব তার ফাউন্ডেশন নিয়ে বলেন, ‘এটা কেবল শুরু। সামনে অনেক কিছু করার ইচ্ছা আছে। ক্রিকেট একাডেমি করার ইচ্ছা আছে। এখন হঠাৎ করে করোনাভাইরাস ইস্যুকে সামনে রেখে ফাউন্ডেশনটা করেছি’।