মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দেশবাসীকে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবাই যেন শিগগির স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন সে প্রত্যাশা করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চোখে দেখা যায় না এমন ভাইরাসের কারণে আজ মানুষ ঘরবন্দি। এটা এমন একটা বিষয় কতদিন চলবে কেউ বলতে পারছে না। সারা বিশ্বেও কেউ বলতে পারছে না। কেউ বলছে শীতকালে ভাইরাসটি থাকে, গরমে থাকবে না। এখন আবার বলছে গরমেও থাকবে। কেউ কিছু বুঝতে পারছে না।
আজ শনিবার একাদশ জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে বিকাল পাঁচটায় সংক্ষিপ্ত এই অধিবেশন শুরু হয়। সংবিধানের বাধ্যবাধকতা রক্ষায় করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এই অধিবেশন ডাকা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা প্রাকৃতিক অনেক বড় দুর্যোগ মোকাবিলা করেছি। কিন্তু স্বাস্থ্যখাতে এত বড় ঝড় আমরা মোকাবিলা করিনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখনো বাংলাদেশ অন্য দেশ থেকে ভালো আছি। তবে আমি একটু আমার দেশের মানুষকে বলবো, আসলে আমাদের দেশের মানুষ যে এত সাহসী হয়ে গেছে। বউ নিয়ে বেড়াতে গেল শ্বশুরবাড়ি শিবচর, সেখান থেকে টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে হাজির। আমরা সবাইকে বলি, যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই ভাইরাসটি মুখ থেকে আসে। কথা থেকে ছড়ায়। এই যে এখানে সংসদ সদস্যরা সবাই মাস্ক পরে আছেন, সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। নিজে সুরক্ষিত থাকেন। অপরকেও সুরক্ষিত রাখেন।’
সবাইকে দোয়া করার আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘সকলেই আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। কাবা শরিফ মদিনা শরিফেও কারফিউ দেওয়া হয়েছে। কাজেই মসজিদে না গিয়ে ঘরে বসে আল্লাহকে ডাকেন। যেন আমরা বিশ্ববাসী এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি, স্বাভাবিক কাজে ফিরতে পারি।’