ভারতের বৃহত্তম আঞ্চলিক অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত মহারাষ্ট্র প্রদেশের মুম্বাইয়ে লকডাউন শিথিল করে সীমিত আকারে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কল-কারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তিন সপ্তাহের বেশি সময়ের লকডাউনে থমকে যাওয়া অর্থনীতির চাকা সচল করতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ভারতে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ৭১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন; যাদের বেশিরভাগই এই মহারাষ্ট্রের। এশিয়ার বৃহত্তম ঘনবসতিপূর্ণ একটি বস্তি মুম্বাইয়ে অবস্থিত; সেখানেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন, রাজ্যের কম সংক্রমিত কিছু কিছু এলাকায় কিছু কার্যক্রমের অনুমতি দেয়া হতে পারে। এছাড়া করোনার রেড জোন এলাকায় লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
রাজ্যের একটি কম সংক্রমিত এলাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতির চাকা আবারও চালু করা দরকার। আমরা সোমবার থেকে বাছাইকৃত কিছু প্রতিষ্ঠানকে কাজ শুরুর অনুমতি দিচ্ছি; বিশেষ করে অরেঞ্জ এবং গ্রিন জোন এলাকায়।
গত মাসের শেষের দিকে দেশটিতে করোনার বিস্তার ঠেকাতে লকডাউন জারি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় গত সপ্তাহে এই লকডাউনের মেয়াদ আগামী ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।
লকডাউনের কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলে তৈরি হওয়া অর্থনৈতিক দুর্দশা কাটাতে কিছু কিছু রাজ্যে নির্দিষ্ট কিছু ব্যবসা-বাণিজ্য এবং কল-কারখানা খুলে দেয়ার অনুমতি দেয় ফোডারেল সরকার। যেসব অঞ্চলে করোনার বিস্তার তীব্র হয়নি; সেসব অঞ্চলের কৃষিকাজ, মহাসড়ক নির্মাণ ও উৎপাদনমুখী কারখানা চালু করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
- ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন জ. ই. মামুন
- করোনায় দেশে একদিনে আরও ৭ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৩১২
কলকারখানা বন্ধ থাকায় বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই থেকে ইতোমধ্যে হাজার হাজার অভিবাসী শ্রমিক দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে গ্রামে ফিরে গেছেন। যানবাহন বন্ধ থাকলেও খাদ্য সঙ্কট ও বাসা ভাড়ার অর্থ পরিশোধ করতে না পারায় পায়ে হেঁটেই হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে এই শ্রমিকরা চলে যেতে বাধ্য হন।
তবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, রাজধানীর কোনো বিধি-নিষেধ শিথিল করা হবে না। দেশটির মোট করোনাক্রান্তের প্রায় এক তৃতীয়াংশই দিল্লির বাসিন্দা।
সূত্র: রয়টার্স।