ভারতে করোনায় আক্রান্ত ১৬ হাজার ছাড়াল, মৃত্যু ৫ শতাধিক

কলকাতা প্রতিনিধি

ভারতে করোনায় মৃত্যু
ছবি : সংগৃহীত

ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এরই মধ্যে এ সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

এ পর্যন্ত প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে দেশটিতে মারা গেছেন ৫২১ জন। এ মুহূর্তে ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৬৫ জন। খবর এনডিটিভির।

universel cardiac hospital

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ শনিবার তার বাসভবনে মন্ত্রীদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। এ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে ত্রাণ দিতে মন্ত্রণালয় কী ভূমিকা নিতে পারে তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা অনুযায়ী, ২০ এপ্রিলের পর সংক্রমণ দেখা যায়নি, এমন স্থানে লকডাউন শিথিল হতে পারে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লিতে নর্থ ব্লকে ওয়ার রুমে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনায় সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যান দেখে বোঝা যাচ্ছে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। রোববার সকাল পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ওঠার পরিমাণ ১৪.২ শতাংশ। শনিবার যা ছিল ১৩.৮৫ শতাংশ। গত মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার যা ছিল যথাক্রমে ৯.৯৯, ১১.৪১, ১২.০২ ও ১৩.০৬ শতাংশ।

১২ রাজ্যের ২২টি নতুন জেলায় গত ১৪ দিনে নতুন করে সংক্রমণের কথা জানা যায়নি বলে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা লব আগরওয়াল।

দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশের সঙ্গে যোগ রয়েছে ৪ হাজারেরও বেশি কোভিড-১৯ সংক্রমণের। শনিবার পর্যন্ত মোট ১৪ হাজার ৩৭৮ জন আক্রান্তের মধ্যে ৪ হাজার ২৯১ জনই তাবলিগি জামাতের ওই সমাবেশের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলে কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের দাবি, যা মোট সংক্রমণের ২৯.৮ শতাংশ।

সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি সংক্রমণের ঘটনা নিয়ে মহারাষ্ট্র এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত রাজ্যের তালিকার শীর্ষে। শনিবার পর্যন্ত এশিয়ার সর্ববৃহৎ বস্তি এলাকা মুম্বাইয়ের ধারাভিতে এখনও পর্যন্ত ১১৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

জম্মু ও কাশ্মীরের দুটি জেলায় ৩০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন (মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের), সেখানে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হননি বলে জানানো হয়েছে।

রাজৌরি ও কিস্তোয়ার নামের ওই দুই জেলায় চারজন কোভিড-১৯ রোগী সেরে ওঠার পর গত ১০ দিনে কেউই আক্রান্ত হননি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে