প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে দেশে যেন খাদ্য ঘাটতি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছে সরকার। বর্তমানে ৫০ লাখ মানুষকে রেশন কার্ড দেওয়া হচ্ছে। আরো ৫০ লাখ লোককে রেশন কার্ড দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে এক কোটি লোক খাদ্য সহায়তা পাবেন। আর এই এক কোটি লোকের পরিবারের সংখ্যা যদি পাঁচজন হয় তাহলে পাঁচ কোটি লোক খাদ্য সহায়তার আওতায় আসবেন।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা পারদর্শী। কিন্তু করোনাভাইরাসের দুর্যোগ সম্পর্কে আমাদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। কারও নেই। আর প্রাদুর্ভাব যে এত ভয়াবহ হবে, তা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। যখন এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, তখনই আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে করোনা আসার সম্ভান পেয়েই আমরা নানা ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বাংলাদেশে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদফতর ও আইইডিসিআর যথাযথ কাজ করছে। করোনা চিকিৎসা সরকারিভাবে করা হচ্ছে। দেশের সব জায়গায় এখন করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের হাসপাতালগুলোতে আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। অনেক বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলায় পৃথক আইসোলেশন হাসপাতাল খোলা হয়েছে। আইসোলেশন ইউনিট ৬ হাজার ২০০টি। ভবিষ্যতের জন্য ইতোমধ্যে আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছি।
এর আগে, বিশ্বব্যাপী করোনা সংকটের মধ্যেই শুরু হয় একাদশ জাতীয় সংসদের ৭ম অধিবেশন। শনিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশন কক্ষে এ অধিবেশন শুরু হয়।
শুরুতেই সংসদের সভাপতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জানান, শুধুমাত্র সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই এ অধিবেশন। বৈশ্বিক ও জাতীয় সংকটের প্রেক্ষাপটে এ অধিবেশন হবে সংক্ষিপ্ত