বৈশ্বিক মহামারি রূপ ধারণ করা করোনাভাইরাসের প্রেক্ষাপটে এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এক লাখ বাংলাদেশিকর্মী দেশে ফেরত এসেছেন বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ। এর বাহিরে নতুন করে আরও বাংলাদেশিকর্মী দেশে ফেরতের অপেক্ষায় রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রবাসীদের ফেরানো সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মন্ত্রী।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো তেলের দাম কমে গেছে। তাদের বড় আয় হলো তেল। সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দায় আমাদের মতো তারও ভুগছে। ফলে তারা যতদূর পারছে বৈধ কর্মীদের ছাঁটাই করে ফেরত পাঠাচ্ছে।’
ইমরান আহমেদ বলেন, ‘এর সঙ্গে অনিবন্ধিত আমাদের অনেক কর্মীও আছেন। আগে তাদের চলার মতো ব্যবস্থা ছিল। এখন তাদের চলার মতো ব্যবস্থা নেই। এজন্যই কর্মীরা চলে আসছে। করোনা সংকটের কারণে প্রায় লাখ খানেক কর্মী দেশে চলে এসেছে।’
মূলত অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে বাংলাদেশিকর্মীদের দেশে ফেরত আসতে হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী। একইসঙ্গে আর একজনকর্মীও দেশে ফেরত আসুক চান না তিনি।
এর আগে গত ১৫ এপ্রিল ও ৯ এপ্রিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তৃতীয় ও দ্বিতীয় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। আর ৫ এপ্রিল প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রথম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও বাংলাদেশিকর্মী ধাপে ধাপে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে জানিয়ে ইমরান আহমদ বলেন, ‘আমরা চাই তারা সেখানে চাকরি করুক। কিন্তু বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে তারা ফিরে আসছেন। সব মানুষ যদি একসঙ্গে আসেন তাহলে আমরা বিপদে পড়ে যাব। কারণ এত লোক কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা আমাদের নেই। তাই আমরা চেষ্টা করছি যদি তাদের ধাপে ধাপে ফিরিয়ে আনা যায় তাহলে সামাল দিতে পারবো।’
এ সময় মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন খুব দ্রুতই করোনা সংকট কেটে যাবে। আর তখন বাংলাদেশিকর্মীদের দেশে ফেরত আনার সমস্যাটি কেটে যাবে।
ইমরান আহমদ বলেন, ‘করোনা কেটে গেলে আমরা যতটা শঙ্কা করছি ততটা নাও হতে পারে।’
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।