স্বল্প পরিসরে আদালত বসবে কি না সিদ্ধান্ত আজ

বিশেষ প্রতিনিধি

হাইকোর্ট
হাইকোর্ট। ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্বল্প পরিসরে উচ্চ আদালত বসবে কি না এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে আজ বৈঠকে বসবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ও মুখপাত্র ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

universel cardiac hospital

করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারি আদেশের সাথে মিল রেখে আদালত প্রাঙ্গণও বন্ধ রয়েছে। তবে কেবল জরুরি প্রয়োজনে প্রত্যেক জেলায় একটি করে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট খোলা রয়েছে। এমন অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল স্বল্প পরিসরে কোর্ট চালু করতে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করেছেন।

এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি তাদেরকে বলেছেন, তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের ১৪ জন আইনজীবী সীমিত পরিসরে এক-দুটি বেঞ্চ কিংবা অনলাইনে কোর্ট খোলার জন্য প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছেন। করোনাভাইরাস নিয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ চেয়ে একটি বেঞ্চ গঠনে অপর দুই আইনজীবীও চিঠি দিয়েছেন।

এছাড়া ঢাকা বারের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকও প্রধান বিচারপতি বরাবরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে জজ কোর্ট খোলার আবেদন করেছেন।

তবে এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভগের বিচারপতিদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির এক বৈঠকের পর ১১ এপ্রিল এক নোটিশে জানানো হয়, দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলা এবং এর বিস্তাররোধ কল্পে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সব আদালতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

এতে আরও জানানো হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করেছেন। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়, স্বল্প পরিসরেও আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হলে আদালত প্রাঙ্গণে বিচারক, আইনজীবী, আদালতের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনজীবী সহকারীসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষ ও তদবিরকারকদের উপস্থিতি আবশ্যক।

করোনার সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতির সংকটময় সময়ে আদালত প্রাঙ্গণে সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয় বিবেচনায় স্বল্প পরিসরেও আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করা সমীচীন হবে না।

এদিকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় দেশের প্রত্যেকটি জেলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও মেট্রোপলিটন এলাকায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জরুরি মামলার জন্য এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট কর্মরত আছেন বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে