দুর্নীতির মামলায় কারাগার থেকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেলেও এখনো ঘরবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। করোনাভাইরাসের কারণে কার্যত ‘লকডাউন’ চলায় হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাও নিতে পারছেন না তিনি। বাসায় ফেরার পর প্রথমে ১৪দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকলেও এখনো একই অবস্থায় আছেন তিনি।
রমজান শুরুর প্রাক্কালে শুক্রবার মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন কোয়ারেন্টাইনেই চেয়ারপারসনের রজমান কাটবে।
তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম এখন কোয়ারেন্টাইনেই আছেন। যেহেতু গোটা জাতি শাটডাউনে আছে, চলাচল এবং সব কিছুই বন্ধ। উনি (ম্যাডাম) উনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসাধীন আছেন এবং এভাবে কোয়ারেন্টাইনে থেকে তিনি রমজানের রোজা পালন করবেন।’
রমজান উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।
জানা গেছে, খালেদা জিয়া দুই পুত্রবধু ও নাতনীদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে, কোরআন তেলোয়াত, তসবিহ পাঠসহ বই পড়ে সময় কাটাচ্ছেন।
গত ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে ৬ মাস সাজা স্থগিত রেখে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় সরকার। মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা‘য় ওঠেন অসুস্থ খালেদা। বাসার দোতলায় চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে তিনি ১৪ দিন কোয়ারেইন্টাইনে ছিলেন।
লন্ডন থেকে বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান তার চিকিৎসার সব কিছু তত্ত্বাবধান করছেন।
৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে রিউমাটয়েড আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে তার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিমের সদস্য অধ্যাপক এজেএম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের শারীরিক অসুস্থতাটা পূর্বের ন্যায়ই আছে। এটা বিভিন্ন কারণে হচ্ছে। হাত-পায়ের ব্যথা আগের মতোই আছে। আজকে হয়ত একটু ভালো থাকে আবার কালকে প্রচণ্ড ব্যথা থাকে। ব্যথা উপশমের জন্য থেরাপি দেয়া হচ্ছে। উনার ডায়াবেটিস বেশ অনিয়ন্ত্রিত।’
গুলশানের ‘ফিরোজা’র দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীরা জানান, খালেদা জিয়ার বাসায় প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। শুধুমাত্র চিকিৎসক টিমের সদস্য ও কয়েকজন নিকট আত্মীয়স্বজন বাসায় প্রবেশাধিকার রয়েছে।