মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে আগামী ৫ মে পর্যন্ত দেশের সব আদালতে সাধারণ ছুটি। এ অবস্থায় আগামীকাল রোববার থেকে বসছে হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ।
এই আদালত চলতি সপ্তাহে তিন দিন ও আগামী সপ্তাহে তিন দিন বসবে। চলতি চপ্তাহে ২৬, ২৭ ও ২৮ এপ্রিল এবং আগামী সপ্তাহে ৩, ৪ ও ৫ মে আদালত বসবে। এই আদালতে ঠিক কী পদ্ধতিতে বিচার কাজ পরিচালিত হবে সে বিষয়ে আজই সুপ্রিম কোর্ট থেকে বিশেষ নির্দেশনা জারি করা হবে।
এদিকে আদালত কার্যক্রম সুষ্ঠু ও নিরাপদ করতে আজ শনিবার সকালে আদালত কক্ষ পরিদর্শন করেছেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, অনলাইন ও স্বশরীরে আইনজীবীদের উপস্থিতি-এই দুই পদ্ধতিইে শুনানির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যেসব আইনজীবী উপস্থিত হয়ে শুনানি করতে চান তাঁদের জন্য সেরকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আর যাঁরা অনলাইনের মাধ্যমে বা অশরীরী (ভার্চুয়াল) শুনানি করতে চান তাঁদের জন্যও সেরকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিচারক, আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী জনগণ ও বিচারকার্য্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা মাথায় রেখেই এই ব্যবস্থা।
আইনজীবীদের অব্যাহত দাবির প্রেক্ষাপটে এবং বিচারপ্রার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে স্বল্প পরিসরে সাংবিধানিক আদালত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপিল বিভাগে বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান এবং হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের বেঞ্চ বসবেন। আদালত পরিচালনার ক্ষেত্রে কর্মপন্থা নির্ধারণ এবং সামাজিক দূরত্ব অনুসরণের নিয়ম-কানুন বিষয়ে বিচারপতিরা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে গত ২৩ এপ্রিল আপিল বিভাগের বিচারপতিদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের পর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের স্বাক্ষরে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। হাইকোর্ট বিভাগের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ছুটিকালীন সময়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সকল অধিক্ষেত্রের অতি জরুরি বিষয়সমূহ শুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
এই সিদ্ধান্তের পর গতকাল শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর সভাপতিত্বে জুডিশিয়াল রিফর্মস সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ইউএনডিপি’র তত্ত্বাবধানে অনলাইনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, বিচারপতি এম আর হাসান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. হোসেন আলী খান হাসান, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রাব্বানী, ঢাকার সিএমএম জুলফিকার হায়াত, ঢাকার সিজেএম সৈয়দ মাশফিকুল ইসলাম, ইউএনডিপি’র প্রতিনিধি শাহরিন তিলোত্তমা যোগ দেন।