‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লোট’ প্রকল্পের আওতায় উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টেস্ট কিটের স্যাম্পল হস্তান্তর করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
আজ শনিবার সকালে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালের গেরিলা কমান্ডার মেজর এ টি এম হায়দার বীর বিক্রম মিলনায়তনে নমুনা হস্তান্তর করা হয়। তবে আমন্ত্রণ জানানোর পরও মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) ছাড়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত এ কিট গ্রহণের জন্য যায়নি সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান। ফলে প্রতিনিধি না থাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে কিট দেয়া যায়নি।
কিট হস্তান্তরকালে বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল বলেছেন, এই ডিভাইসের মাধ্যমে মাত্র পাঁচ মিনিটেই পরীক্ষা করা যাবে করোনাভাইরাস।
এর আগে, করোনা টেস্টিং কিট প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহ বলেন, আমরা কিট তৈরিতে সফল হয়েছি। রক্ত পরীক্ষা করার পরে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি। আজ আমরা সরকারকে নমুনা দিচ্ছি, যাতে তারা পরীক্ষা করতে পারে। পরীক্ষা করার পর অনুমোদন দিলে প্রথমে দেব ১০ হাজার, তারপরে এক লাখ দেব।
ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঔষধ প্রশাসন, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর), আর্মি প্যাথলজি ল্যাবরেটরি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ (ডাব্লিউএইচও) বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে এই কিট দেব।
গত ৫ এপ্রিল চীন থেকে রিএজেন্ট আসার পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা জিআর ‘কভিড-১৯ ডট ব্লোট’-এর স্যাম্পল তৈরির কাজ শুরু করেন। এ উদ্ভাবনে রয়েছে ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী। প্রথম ধাপে চীন থেকে আসা রিএজেন্ট দিয়ে আপাতত ১০ হাজার স্যাম্পল তৈরির কাজ শেষ করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
কিট হস্তান্তরের সময় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদেরকে সিডিসি কনফার্ম করেছিল আসবে, একমাত্র তারাই এসেছে। সিডিসিকেই আমরা দিয়ে দেব। বাকিদেরকে আমরা কালকে সরকারিভাবে প্রত্যেকের অফিসে পৌঁছে দেব। আমাদের দুঃখ, আপনাদের সামনে হস্তান্তর করতে পারছি না।
দুঃখ প্রকাশ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক (ডিজি) আমাকে জানিয়েছেন, আজকে তারা আসতে পারবেন না। জানি না, আজকে তারা কেন আসতে পারলেন না। মন্ত্রীকেও (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) আমরা তিন দিন আগে এই অনুষ্ঠানে আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলাম। উত্তর পাইনি। মন্ত্রী এখন অত্যন্ত ব্যস্ত মানুষ। হতেই পারে। কারণে-অকারণে অনেক ব্যস্ত আছেন, লেনদেনের ব্যাপারও হয়তো আছে।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘আমরা আর্মি প্যাথলজি ল্যাবরেটোরিকেও আমন্ত্রণ করেছিলাম। তারা অনুমতি পাননি বলে আসতে পারবেন না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমএসইউ) চেয়ারম্যান ফোন করে আমাকে জানিয়েছেন সে অসুস্থ তাই আসতে পারবেন না।
এ সময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ড. বিজন কুমার শীল ছাড়া প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকারসহ অন্য বিজ্ঞানীরা উপস্থিত ছিলেন।