বেশিরভাগ লোকই রোজা ছাড়া বছরের বাকি সময়ে সংযত জীবন যাপন করেন না। রোজার কারণে তারা একধরনের শৃঙ্খলাবোধ চলে আসে। সময়মতো আহার, বিশ্রাম, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং ধূমপান থেকে বিরত থাকা হয়। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সুস্থ থাকতে পুরো রমজান মাস রোজা রাখুন।
বছরের জন্য সময় অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের কারণে অনেকেই নানা সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে ওজন বেড়ে যাওয়া, শরীরের চর্বির আধিক্য ইত্যাদি। কিন্তু রোজা রাখলে শরীরে জমে থাকা এসব চর্বি শরীরের কাজে ব্যবহৃত হয় ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রোজা রাখার ফলে রক্তে ক্ষতিকর ফ্যাট এর মাত্রা কমে যায়। ফলে হৃদরোগের ঝুকি অনেক কমে যায়। রোজা রাখলে স্ট্রেস হরমোন কম নিঃসরণ হয় এর ফলে বিপাকক্রিয়া ও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। রোজা রাখার ফলে মনের অশান্তি ও দুশ্চিন্তা কমে যায়, কাজের প্রতি মনোযোগ বেড়ে যায়, এটি উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য খুবই ভাল।
যেসমস্ত ডায়াবেটিস রোগী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য রজা রাখা খুবই জরুরি। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন হাইপোগ্লাইসেমিয়া না হয়ে যায়। যারা ২ বেলার অধিক ইনসুলিন গ্রহন করে থাকেন তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখলে ভাল হয়।
অনেক সময় দেখা যায় আলসারে আক্রান্ত রোগীরা রোজা রাখলে ভাল থাকেন। কারো কারো সমস্যা হতে পারে। তবে তাদের জন্য রোজা রাখার বিষয়টি অনুশীলনের উপর নির্ভর করে।
আমরা জানি, ধূমপান স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। এ কথা বর্তমান যুগে সবাই জানে। বিজ্ঞানের আবিষ্কারের অনেক আগে থেকেই ইসলাম ধূমপান নিষিদ্ধ করেছিল। ধূমপানের কারণে ফুসফুসে ক্যান্সার হতে পারে। রোজা রাখলে ওই সমস্ত লোক এটি থেকে বিরত থাকতে পারবেন। বলা যেতে পারে ধূমপান বর্জনের উপযুক্ত সময় হচ্ছে রমজান মাস।
স্বাস্থ্য গবেষকদের মতে সারা বছর অতিরিক্ত খাবার, অখাদ্য, ভেজাল খাবার ইত্যাদি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে জৈব বিষ জমা হয়। এটি শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যদি আমরা পুরো এক মাস সঠিক ভাবে রোজা পালন করি তাহলে এসব বিষ শরীর থেকে দূর হয়ে যাবে। আমাদের শরীর হবে শংকামুক্ত।