করোনা ভাইরাস মহামারির কেন্দ্র এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। মৃতদের শেষকৃত্যের জায়গার সংকট দেখা দিয়েছে। শনিবার একদিনে দেশটিতে ২০৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৪১৯ জন। এ তথ্য জানিয়েছে করোনা ভাইরাস নিয়ে লাইভ আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার।
শনিবার পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ৬০ হাজার ৬৫১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৪ হাজার ২৬৫ জনের। এছাড়া করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ১৮ হাজার ১৬২ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের শুধু নিউইয়র্কেই মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৯০৮ জনের। এই প্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৮৮ হাজার ৩১৩ জন। এর পরই রয়েছে নিউ জার্সি। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৫৮৬৩ জনের, আক্রান্ত এক লাখ ৫ হাজার ৫২৩ জন।
এছাড়া ম্যাসাসুসেটসে মৃত্যু হয়েছে ২৭৩০, মিশিগানে ৩২৭৪, ইলিনয়ে ১৮৭৪, লুসিয়ানায় ১৭০৩, কানেকটিকাটে ১৮৬২, পেনসেলভেনিয়ায় ১৮০৪, ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৬৯৫ এবং ফ্লোরিডায় ১০৫৫ জন। অন্য সব শহরগুলিতে মৃতের সংখ্যা ১০০০ এর কম।
রবিবার সকাল পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৩ হাজার ২৭২ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ লাখ ২০ হাজার ৮৭৭ জন। অপরদিকে ৮ লাখ ৩৬ হাজার ৯৪১ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত তিন মাসে বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নেয়া হয়েছে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। অধিকাংশ দেশেই মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে মানুষের চলাফেরার ওপর বিভিন্ন মাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। কোনো কোনো দেশে আরোপ করা হয়েছে সম্পূর্ণ লকডাউন, কোথাও কোথাও আংশিকভাবে চলছে মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম। এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকার প্রায় অর্ধেক মানুষ চলাফেরার ক্ষেত্রে কোনো না কোনো মাত্রায় নিষেধাজ্ঞার ওপর পড়েছেন।