মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে শিশুসহ আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণে মোট ১৫২ জনের মৃত্যু হলো। একই সময়ে নতুন করে আরও ৪৯৭ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো পাঁচ হাজার ৯১৩ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও নয়জন সুস্থ হওয়ায় এই সংখ্যাটা ১৩১ জনে।
আজ সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৪৯৭ জনের ফল পজিটিভ এসেছে। এখন পর্যন্ত মোট পাঁচ হাজার ৯১৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন আরও সাতজন। তাদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ আর একজন নারী। তাদের পাঁচজন ঢাকার এবং দুইজন সিলেট ও রাজশাহীর। মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে একজন শিশুও আছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা আরও বলেন বয়স বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ৬০ বছরের বেশি বয়সের পাঁচজন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যেই একজন ও ১০ বছর বয়সের নিচে রয়েছে এক শিশু।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৮৫ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন ১ হাজার ২২০ জন। সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে নয় হাজার ৭৩৮টি। ঢাকার ভেতরে রয়েছে তিন হাজার ৯৪৪টি। ঢাকা সিটির বাহিরে পাঁচ হাজার ৭৯৪টি শয্যা রয়েছে। আইসিইউ সংখ্যা রয়েছে ৩৪১টি, ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে ১০২টি।
বুলেটিন উপস্থাপনকালে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।
২০১৯ সালের শেষ দিন চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন গোটা বিশ্বে তাণ্ডব চালাচ্ছে। চীন পরিস্থিতি অনেকটা সামাল দিয়ে উঠলেও এখন মারাত্মকভাবে ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা দুই লাখ সাত হাজার ছাড়িয়েছে।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৮ মার্চ।