করোনার কিট নিয়ে অযাচিতভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হেয় করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। করোনা পরীক্ষার কিট অনুমোদনসহ এ বিষয় নিয়ে যে অসহযোগিতার কথা গণস্বাস্থ্য বলছে তাও প্রত্যাখান করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান ও মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান গণস্বাস্থ্যের অভিযোগ প্রত্যাখান করে বক্তব্য রাখেন।
গণস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে শুরু থেকে সহযোগিতা পেয়ে ধন্যবাদ জানানো একাধিক চিঠি তুলে ধরে তারা দাবি করেন, তারা গণস্বাস্থ্যকে শুরু থেকে সহযোগিতা করে আসছে। সামনেও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে।
মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বিশ্বের কোথাও র্যা পিড টেস্টিং কিট ব্যবহার করা হচ্ছে না। এই ধরনের পরীক্ষায় ভুল ফলাফল আসার সম্ভাবনা বেশি হওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এটা অনুমোদন করেনি।’
এসময় ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘শুরু থেকেই গণস্বাস্থ্যের কিট তৈরিতে সরকার সহযোগিতা করে এসেছে, ভবিষ্যতেও করবে। এনিয়ে বিভ্রান্তি ও ভুল বক্তব্য দেয়া দুঃখজনক।’
হাবিবুর রহমান খান বলেন, ‘পিসিআর পদ্ধতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমতি সাপেক্ষেই করোনা শনাক্তের কাজ হচ্ছে, হবে। অচিরেই হাসপাতালগুলোতে আরও চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেয়া হবে।’ পিসিআর টেস্টিং কিটের কোনো সংকট নাই এবং সামনেও সংকট হবে না বলেও জানান তিনি।
গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক বলেন, ‘উনি বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সম্মেলন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং আমাদের ওষুধ প্রশাসনকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন। আমি অতি বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, আমাদের দেশের এই মুহূর্তে প্রত্যেক মানুষের সহযোগিতা খুব দরকার। গণস্বাস্থ্যের সহযোগিতা আমাদের দরকার। সবাই মিলে আমাদের সমস্যা সমাধান করতে হবে।’
মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এখানে যদি অযাচিতভাবে অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে মানুষকে তথা প্রতিষ্ঠানকে হেয়প্রতিপন্ন করার প্রচেষ্টা চালানো হয়, সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এটি আমি প্রত্যাখ্যান করছি। আমি অনুরোধ করব এ ধরনের অপপ্রচার যাতে না চালানো হয়। তিনি একজন বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ। তার কাছ থেকে আরও বিজ্ঞানভিত্তিক, সৌজন্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি এবং কথাবার্তা আশা করব।’
মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ওনারা একটা টেস্ট ডেভেলপ করেছেন। আমাদের দিক থেকে, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দিক থেকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম এবং এখনও আছি।’