শিশু পর্নোগ্রাফি নিয়ে ভারতে বিপাকে পড়েছে গুগল, ট্যুইটার এবং হোয়াটসঅ্যাপ। লকডাউনের সময় দেশটিতে অনলাইনে শিশু পর্নোগ্রাফি দেখার ঘটনা মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়েছে বলে সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
এই ইস্যুতে সম্প্রতি গুগল, ট্যুইটার এবং হোয়াটসঅ্যাপকে পৃথকভাবে নোটিশ পাঠিয়েছে ভারতের জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গুগলকে পাঠানো নোটিশে কমিশন বলেছে, ‘অনলাইনে শিশু যৌন হেনস্থামূলক কনটেন্টের উপস্থিতি নিয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্তে জানা গেছে, গুগল প্লে স্টোরে এমন অ্যাপ আছে যার মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি ডাউনলোড করা যায়। এমনকি এমন অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহারকারীরা চাইলে পর্নোগ্রাফি পর্যন্ত দেখতে পারেন। চাইল্ড পর্নোগ্রাফ্রিও তাদের নাগালের বাইরে নয়। ফলে গোটা বিষয়টি খুবই উদ্বেগের।’
কীভাবে এই ধরনের অ্যাপকে প্লে স্টোরে রাখার অনুমতি দেয়া হচ্ছে, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে ক্ষুব্ধ কমিশন। যার জেরে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন এনক্রিপটেড হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে চাইন্ড পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে পড়ছে বলেও জানতে পেরেছে শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। গোটা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ফেসবুকের মালিকানাধীন এই সংস্থাকে নোটিশ পাঠিয়েছে তারা।
অন্যদিকে, ট্যুইটারের মাধ্যমে চাইন্ড পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত লিংক শেয়ার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে কমিশন। তাই তাদেরও নোটিশ পাঠিয়ে জবাব চাওয়া হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের ইন্ডিয়া চাইল্ড প্রোটেকশন ফান্ডের নজরদারিতে দেখা গেছে, লকডাউনের সময় ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে ‘চাইল্ড পর্ন’, ‘সেক্সি চাইল্ড’, ‘টিন সেক্স ভিডিও’ সার্চ সাংঘাতিক ভাবে বেড়ে গেছে।
অনলাইনে চাইল্ড পর্ন সার্চ করা ও তা ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে লকডাউন ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত ভারতে ১৩৩ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।