রমজানে সুস্থ থাকুন

বিশেষ প্রতিবেদক

রমজানে সুস্থ থাকুন

রমজান মাসে সঠিকভাবে রোজা পালন করার জন্য প্রয়োজন সুস্থ শরীর। আর তাই, নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবারের রুটিন। এছাড়াও রমজানে সুস্থতা বজায় রাখতে প্রয়োজন রুটিন মেনে চলার একনিষ্ঠতা। আপনাদের রমজানের রোজা সুস্থ-সবল দেহ নিয়ে পালনের জন্য রইলো কিছু পরামর্শ।

হালকা খাবার

universel cardiac hospital

হালকা খাবারেই আহার সারুন। বিরিয়ানি, খিচুড়ি বা পোলাও এমন ভারী খাবারগুলি অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন। সহজপাচ্য হতে হবে খাবারের উপাদান। তেলে-মশলায় কব্জি ডুবিয়ে খেয়ে মাথা ঘুরে পড়বেন না যেনো!

ফল ও সবজি খান

এই বছরের রমজানে ইফতার বলুন কিংবা সেহরি, পারলে অবশ্যই ফল খাওয়ার চেষ্টা করবেন। সঙ্গে সবজি বেশি করে খাবেন। যতোটা সম্ভব হয় তাজা ফল সংগ্রহ করবেন এই মাসের জন্য। ইফতারির আয়োজনে ভাজা খাবার কমিয়ে ফল বেশি করে খান। এতে শরীর অনেকটাই ফুরফুরে লাগবে। পেটের খিদের সঙ্গে কমবে মনের খিদেও।

ইফতার ও সেহরিতে মিষ্টান্ন রাখুন

মিষ্টি জাতীয় খাবার কিছু না কিছু অবশ্যই রাখবেন ইফতারের টেবিলে। সম্ভব হলে সেহেরিতেও রাখুন মিষ্টান্ন। খেজুর রমজানে শরীরের ভীষণ বন্ধু এক খাবার। কাজেই ফল এবং মিষ্টি উপাদান হিসেবেও খেজুর বেছে নিন খাদ্য তালিকায়। দুধ-চাল আর বাদামের মিশ্রণে সাধারণ পায়েসও মজাদার খাবার হতে পারে ইফতারে।

কড়া পানীয়কে না বলুন

কড়া পানীয়ের বদলে হালকা পানীয় গ্রহণ করুন এই এক মাস! চা ছাড়া দিন চলে না যাদের তারা লাল চায়ের অভ্যাস করুন। এছাড়া কোমল পানীয় এড়িয়ে চলবেন।

ইফতারে বেহিসেবি খাওয়া নয়

সারাদিন রোজা থাকার পর ইফতারে গোগ্রাসে খাবেন না। এতে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। এসময় অল্প অল্প করে তৃপ্তি সহকারে খান।

রোজায়ও চলুক ব্যায়াম

রমজানে সুস্থতা পালনে শরীর চর্চার সঠিক সময় হচ্ছে ইফতারের ঠিক পূর্বে। তাই, ইফতারের ঘণ্টা দু-এক আগে নিজের শরীর চাঙ্গা রাখতে হালকা ব্যায়াম বা যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। ইফতারের পর ১৫-২০ মিনিটের জন্য বাইরে হেঁটে আসতে পারেন। তবে কখনোই ভারী ব্যায়াম করবেন না।

দুপুরের পর একটু ঘুমান

রোজার সময় প্রতিদিন দুপুরের পরে একটু ঘুমিয়ে নিন। তাহলে আর রোজার ক্লান্তিতে আপনার শরীর ভেঙে পড়বে না। জোহরের নামাজের পর থেকে আছরের নামাজের মধ্যবর্তী সময়টি দিবানিদ্রার সবচেয়ে ভালো সময়।

ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপে করণীয়

উচ্চরক্তচাপ যাদের আছে তারা রোজা রাখতে পারেন। তবে তাদেরকে নিয়মিত ওষধ খেতে হবে। তাহলেই তারা রোজা রাখতে পারবেন। ইউরিক এসিড থাকলে ডালের তৈরি খাবার কম খেতে হবে। এছাড়া যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদেরকে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ওষুধ খাওয়ার নতুন তালিকা করবেন।

শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখার ওপর গুরুত্ব দিন। এসব বিষয় খেয়াল রাখলে রমজানেও আপনার শরীর-স্বাস্থ্য পুরোপুরি ফিট থাকবে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে