সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর আফরিনে তেল ট্যাংকার হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। যারা সবাই বেসামরিক নাগরিক। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশুও আছেন।
এছাড়া হামলার ওই ঘটনায় ৪৭ জনের মতো আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার শহরটির একটি ব্যস্ত সড়কে ট্যাংকারটির বিস্ফোরণ হলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে টুইটারে দেয়া এক পোস্টে জানানো হয়।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি নিছক দুর্ঘটনা নয়। তেলের ট্যাংকার লক্ষ্য করো বোমা ফেলা হয়েছিল। যার জেরে জোরাল বিস্ফোরণ ঘটে, আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
আগুনের লেলিহান শিখা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ার আগেই অগ্নিপ্রতিরোধ দপ্তরের কর্মীরা আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
হামলায় তেলের ট্যাংকারটির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গাড়ি ও দোকান পুড়ে গেছে। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা অনেক মানুষ আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। অনেকেই গাড়িতে আটকা অবস্থাতেই পুড়ে গেছেন। আহতদের মধ্যে অধিকাংশেরই অবস্থা গুরুতর। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে তুরস্কের দাবি, হামলার সঙ্গে কুর্দিশ পিপলস প্রোটেকশন ইউনিট (ওয়াইপিজি) জড়িত। ওয়াইপিজি নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) প্রশাখা বলে জানিয়েছে আঙ্কারা।
১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ চালিয়ে যাচ্ছে পিকেকে। তুরস্ক ও অনেক পশ্চিমা দেশই তাদের ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’বলে মনে করে। তুরস্কের সামরিক বাহিনী সিরিয়ায় অভিযান চালানোর আগে সিরিয়া শহর নিয়ন্ত্রণ করত কুর্দিশ বাহিনী।