ভারতে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে সংক্রমিত প্রায় আড়াই হাজার মানুষের মধ্যে।
করোনার প্রকোপ শুরুর পর থেকে একদিনে এত বেশিসংখ্যক রোগী কখনও বাড়েনি ভারতে। খবর আনন্দবাজার ও এনডিটিভির।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুয়ায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৪৪২ জন। দেশে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৩৯ হাজার ৬৯৯ জন। গত একদিনে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ১০০ জন। সব মিলিয়ে মৃত ১ হাজার ৩২৩।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এক হাজারেরও বেশি করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। সুস্থ হওয়ার হার ক্রমশ বাড়ছে। এখন তা ২৬.৬৫ শতাংশ। কয়েক দিন আগেও যা কুড়ির আশপাশে ছিল।
মহারাষ্ট্রে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। সেখানে মৃতের সংখ্যা ৪৮৫। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব সরকার জানিয়েছেন, লকডাউনের ফলে আটকেপড়া পরিযায়ী শ্রমিক, পর্যটক, তীর্থযাত্রী বা শিক্ষার্থীদের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় বা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার ছাড়পত্র দেবেন পুলিশের ডেপুটি কমিশনাররা।
তবে মুম্বাই, পুনে ও পিম্পরি ছিঁচওয়াড়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পৌর কমিশনাররা সংক্রমণের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত না নেয়া পর্যন্ত এসব এলাকায় যাতায়াতের অনুমতি দেয়া হবে না।
এই এলাকাগুলো থেকে অবশ্য মহারাষ্ট্রের বাইরে যাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে মূলত পরিযায়ী শ্রমিকদের কথাই বলা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ডাক্তারের ছাড়পত্র দেখিয়ে নিকটবর্তী থানায় আবেদন করতে হবে।
সেই আবেদনপত্র খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন ডিসিপিরা। রাজ্যওয়াড়ি সংক্রমণের নিরিখে গুজরাট দ্বিতীয় এবং দিল্লি তৃতীয় স্থানে রয়েছে। দিল্লির কাপাশেরা এলাকার একটি ভবনে ৪১ জনের করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে বলে রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
অর্থনৈতিকভাবে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর হচ্ছে- মুম্বাই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও আহমেদাবাদ– সবই এখন রেড জোনে।