জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে প্রবাসী সাংবাদিক, কার্টুনিস্টসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে র্যাব-৩। মামলায় এরই মধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বুধবার সকালে ডিএমপির রমনা থানায় মামলাটি করা হয়।
এহজারে বলা হয়েছে, র্যাব-৩ পর্যালোচনা করে দেখেছে, ‘i am bangladeshi’ পেজের এডমিন সায়ের জুলকারনাইন, আমি কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ শুমাখার, স্বপন ওয়াহিদ ও মোস্তাক আহমেদ নামে পাঁচজন দীর্ঘদিন ধরে পেজ চালাচ্ছে। যেখানে জাতির জনক, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মহামারি সম্পর্কে গুজব, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিপ্রায়ে অপপ্রচার বা মিথ্যা জেনেও তারা গুজব ছড়াচ্ছিল। এতে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে।’
মামলায় আসামি করা হয়েছে- কার্টুনিস্ট আহম্মেদ কবির কিশোর, ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমেদ, রাষ্ট্রচিন্তা সংগঠনের অন্যতম সংগঠক দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া, মিনহাজ মান্নান, প্রবাসী সাংবাদিক তাসনিম খলিল ও সাহেদ আলম, সায়ের জুলকারনাইন, আশিক ইমরান, ফিলিপ শুমাখার, স্বপন ওয়াহিদ, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনকে।
এদিকে রাতে র্যাবের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেশবিরোধী পোস্ট এবং করোনা সময়ে ত্রাণ বিতরণ ও সরকারে বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ানোর অপরাধে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। তারা হলেন, আহমেদ কবির কিশোর, মুশতাক আহমেদ, দিদার ভূঁইয়া ও মিনহাজ মান্নান।
কার্টুনিস্ট কিশোর মূলত করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনামূলক কার্টুন-পোস্টার বানিয়েছিলেন। আর সেসব পোস্ট বিভিন্ন পেজে শেয়ার করেছিলেন লেখক মুশতাক আহমেদ, ‘রাষ্ট্রচিন্তা’ নামে একটি সংগঠনের অন্যতম সংগঠক দিদার ভূঁইয়া ও মিনহাজ মান্নান। গত দুদিন নানা নাটকীয়তার পর আজ সকালে এবং সন্ধ্যায় তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এই মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে র্যাব।