মালিক সমিতির আবেদনেই মার্কেট খোলার অনুমতি : বাণিজ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ছবি : সংগৃহিত

দোকান মালিক সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতেই সীমিত পরিসরে দোকান-পাট ও শপিংমল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তবে কেউ চাইলে মার্কেট না-ও খুলতে পারে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ব্যবসা বাণিজ্য বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাস ধরা পড়ার পর থেকে ধীরে ধীরে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে শুরু করে সাধারণ মানুষ।

গত ১৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম এক ব্যক্তি এই রোগে মারা যাওয়ার পর বিপণি বিতানগুলো ফাঁকা হতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে সরকার লকডাউন ঘোষণা না করলেও তার আগেই ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধের ঘোষণা দেন।

করোনা প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব অফিস আদালত বন্ধ ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়, শপিং মলও বন্ধ রাখতে বলা হয়।

সেই ছুটির মেয়াদ ইতোমধ্যে ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত-মৃতের সংখ্যা প্রতিদিনই উদ্বেগজনক হারে বাড়ার মধ্যেই ১০ মে থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত সীমিত পরিসরে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি দেয় সরকার। এমন সিদ্ধান্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনেকে সমালোচনা করেন।

আজকের সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দোকান মালিক সমিতির সভাপতির চিঠি পেয়েই দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, কেউ খুলবে না-কি বন্ধ রাখবে তা তাদের নিজস্ব ব্যাপার।

মন্ত্রী বলেন, ঈদকে সামনে রেখে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১০ মে থেকে সকাল ১০টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দোকান-পাট ও শপিংমল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে বড় দুটি শপিংমল সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা মল খুলবে না। এটা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। কেউ যদি মনে করে দোকান খোলা ঠিক হবে না, তারা খুলবে না। তবে যারা খুলবে তাদেরকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

মার্কেট খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে তাহলে ক্রেতা মার্কেটে আসবে কিভাবে এমন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আসলে যিনি যে এলাকার বাসিন্দা তিনি সে এলাকার মার্কেটে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনবেন এ জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আগামী শনিবার থেকে টিসিবি কেজিপ্রতি ২৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করবে বলে জানান টিপু মুনশী।

মন্ত্রী বলেন, আমরা আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম তাই করোনার মধ্যে নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। এ দুরবস্থার মধ্যে প্রায় ৫০৯ স্পটে ট্রাকে এবং বিভিন্ন ডিলারের মাধ্যমে টিসিবি পণ্য বিক্রি করছে। আজকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী শনিবার থেকে ২৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করবে টিসিবি। যা এতদিন বিক্রি হচ্ছিল ৩৫ টাকা কেজিতে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে