আজ শনিবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) আক্রান্তদের চিকিৎসায় নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড়, অস্থায়ী হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)। ইতিমধ্যেই হাসপাতালের অবকাঠামোগত কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শনিবার (৯ মে) দুপুর ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতালটির চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, দেশের দুর্যোগের সময় দ্রুততার সঙ্গে নির্মিত বৃহত্তম এ হাসপাতালটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এইচইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম বলেন, হাসপাতালের অবকাঠামোগত কাজ আমরা শতভাগ শেষ করেছি। এখানে পরিচালক, সহকারী পরিচালক নিয়োগ হয়েছে। এখন উনাদেরকে হাতে হাতে সবকিছু বুঝিয়ে দেব। স্বাস্থ্য অধিদফতর যখন মনে করবে, তখন চালু করবে। অফিস থেকে জানতে পেরেছি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৯ মে দুপুর ১২টায় হাসপাতালটি উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক করেছে। আমরা সেই অপেক্ষায় আছি এবং শতভাগ প্রস্তুত আছি।
উদ্বোধনের ব্যাপারে জানতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৯ মে (শনিবার) দুপুর ১২টায় উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। কে উদ্বোধন করবেন সেটা এখনো ঠিক হয়নি। মন্ত্রী পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি ঠিক করবেন।
উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দিতে সরকারকে আইসিসিবিতে ৫ হাজার শয্যার একটি সমন্বিত অস্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দিলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল পরিদর্শন করে হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়।
নানা হিসাব-নিকাশ শেষে সেখানে ২ হাজার ১৩ শয্যার হাসপাতাল ও ৭১ শয্যার আইসিইউ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আইসিসিবির সুবিশাল চারটি কনভেনশন হল ও একটি এক্সপো ট্রেড সেন্টারে দেশের অন্যতম বৃহৎ এ হাসপাতালটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে সরকারের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
উল্লেখ্য, বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে করোনা চিকিৎসায় আইসিসিবিকে ব্যবহারের জন্য সরকারকে দেওয়া হয়েছে। বসুন্ধরার কাছ থেকে আইসিসিবির সব স্থাপনা বুঝে নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে রূপ দিতে গত ১২ এপ্রিল কাজ শুরু করে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (এইচইডি)। কোভিড-১৯ বিপর্যয় শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সরকারের যত দিন ব্যবহারের প্রয়োজন তত দিন ব্যবহার করা যাবে এটি।