করোনাভাইরাস মোকাবিলায় অনেকটাই সফল মনে করা হচ্ছে জার্মানিকে। দেশটির উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, আগাম সতর্কতা ও ব্যাপকহারে পরীক্ষাকে এর প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, জার্মানির প্রায় ৮৪ শতাংশ করোনা আক্রান্ত রোগী এখন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এখন প্রায় ৪০ লাখ ৬৭ হাজার। আর মরণঘাতক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার ছুঁইছুঁই। প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। শুধু ইউরোপেই মৃতের সংখ্যা প্রায় দেড় লাখের উপরে।
এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জার্মানিতে ১ লাখ ৭১ হাজার জন মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। যার মধ্য থেকে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার ৫ শত ১০ জন মানুষ মারা গেছেন।
আশাব্যঞ্জক হলো, জার্মানিতে ১ লাখ ৭১ হাজার জন মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও চিকিৎসা নিয়ে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩০০ জন মানুষ পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যা মোট আক্রান্তের প্রায় ৮৪ শতাংশ। যেখানে আক্রান্তের সংখ্যার হিসাবে প্রথম অবস্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্র ১৩ লাখ ২২ হাজারের অধিক মানুষ করোনা আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়েছেন মাত্র ২ লাখ ২৪ হাজারের মতো রোগী। যা মোট আক্রান্তের ১৭ শতাংশের কম।
এদিকে করোনা সংকটের কারণে জার্মানিতে আরোপিত কড়াকড়ি শিথিল করা হলেও সামাজিক দূরত্বের বিধানসহ কিছু বিধি-নিষেধের মেয়াদ আগামী ৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গত বুধবার সকল রাজ্যের মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার পর দেশটির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এ ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেন, ‘আমরা এখন বলতে পারি মহামারিটির প্রথম পর্যায় পেরিয়ে গেছি। তবে আমাদের সর্বদা সচেতন থাকতে হবে এবং ভাইরাসের প্রতি আমাদের কঠোর নজর রাখাতে হবে’।
জার্মান ফুটবল লিগ ‘বুন্দেসলিগ’ মে মাসে সীমিত আকারে চালু হবে। তবে উৎসব, কনসার্ট, সেমিনার, মেলাসহ সব বড়বড় ইভেন্টগুলো কমপক্ষে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নিষিদ্ধ থাকবে দেশটিতে। জার্মানিতে করোনা সংক্রমণ এড়াতে এতদিন শুধু পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রকাশ্যে বের হওয়ার অনুমতি ছিল। সার্বিকভাবে সংক্রমণের হার কিছুটা কমায় এবার অন্য একটি পরিবারের সদস্যের সঙ্গেও মেলামেশার অনুমতি দেয়া হচ্ছে।