‘মায়ের একধার দুধের দাম, কাটিয়া গায়ের চাম/পাপশ বানাইলে ঋণের শোধ হবে না/এমন দরদি ভবে কেউ হবে না আমার মা গো…’।
মা, যার মাধ্যমে পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখা। আমরা পৃথিবীতে আসার পর যে শব্দটি প্রথম বলতে শিখেছি সেটাও মা। এ ছোট্ট নামের মধ্যেই যেন সব মধু মাখা। মা উচ্চারণের সাথে সাথে হৃদয়ের অতল গহীনে যে আবেগ ও অনুভূতি রচিত হয়, তাতে অনাবিল সুখের আবেশ নেমে আসে।
প্রতিক্ষণ-প্রতিদিন নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে সন্তানদের পৃথিবীতে চলার যোগ্য তৈরি করে দেন যিনি, সেই ‘মা’ কে বছরে একটি দিন বিশেষভাবে মাতৃভক্তরা পালন করেন। সেই বিশেষ দিনটি আজ। আজ মে মাসের দ্বিতীয় রোববার-বিশ্ব মা দিবস।
‘তোমার তুলনা তুমিই মা’-এই প্রতিপাদ্যে মা দিবস পালন নিয়ে উইকিপিডিয়া তুলে ধরেছে দুটি ইতিহাস। একটি ইতিতাসে বলা হয় ‘মা দিবসের’ প্রচলন শুরু হয় প্রাচীন গ্রিসে। অপর ইতিহাস হলো-সর্ব প্রথম ১৯১১ সালের মে মাসের দ্বিতীয় রোববার আমেরিকাজুড়ে ‘মাদারিং সানডে’ নামে একটি বিশেষ দিন উদযাপন করা হয়।
১৯১৪ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন দিবসটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেন। এরপর পৃথিবীর দেশে দেশে মা দিবসটি পালনের রেওয়াজ ছড়িয়ে পড়ে।
মা সন্তানের অভিভাবক, পরিচালক, ফিলোসফার, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও বড় বন্ধু। মায়ের দেহে নিউট্রোপেট্রিক রাসায়নিক পদার্থ থাকায় মায়ের মনের মাঝে সন্তানের জন্য মমতা জন্ম নেয়; মায়ের ভালোবাসার ক্ষমতা বিজ্ঞানের মাপকাঠিতে নির্ণয় করা সম্ভব নয়।
ইসলামে বাবা অপেক্ষা মায়ের মর্যাদা তিনগুণ বেশি। এমনকি হাদিসে বলা আছে-মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। পবিত্র কোরআনেও মা-বাবার বিশেষভাবে যত্ন নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
সনাতন হিন্দু ধর্মে মায়ের স্থান অনেক উঁচুতে। তবে মাকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানোর নির্দিষ্ট কোনো দিন নেই। মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রতিটি মুহূর্তের। সব ধর্মে মায়ের মর্যাদা সৃষ্টিকর্তার পরেই।