প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পেতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে বলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আশার বাণী শুনিয়েছেন। তবে ঠিক উল্টো ক্ষেত্রে সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতিতে কি ঘটতে পারে সেটিও জানিয়েছেন তিনি; বলেছেন হয়তো কখনই এই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে না।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে যুক্তরাজ্যে জারিকৃত লকডাউন ধাপে ধাপে শিথিলে সরকারের পরিকল্পনা ৫০ পৃষ্ঠার এক নথিতে তুলে ধরেছেন বরিস।
থমকে যাওয়া অর্থনীতি ও জীবনের চাকা সচল, ব্যবসা-বাণিজ্য, কলকারখানায় গতি ফেরাতে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় লোকজন সামাজিক দূরত্ব ও ব্রিটিশ সাধারণ বোধকে কীভাবে কাজে লাগিয়ে ধারাবাহিকভাবে সবকিছু খুলবেন সে বিষয়ে সরকারি পরিকল্পনা ঠাঁই পেয়েছে সেই নথিতে।
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডনের বিজ্ঞানীদের করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির ব্যাপারে বরিস জনসন বলেন, গণহারে একটি ভ্যাকসিন অথবা অন্য কোনও চিকিৎসা পেতে আরও এক বছরের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে।
তিনি বলেন, এমনকি সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতিতে আমরা হয়তো কখনই একটি ভ্যাকসিন খুঁজে পাবো না। সুতরাং আমরা বর্তমানে যে পরিস্থিতিতে আছি, সেটি অবশ্যই একসঙ্গে মোকাবিলা করা উচিত। আর এটি দীর্ঘ সময় ধরেই করতে হতে পারে। তবে এই পরিণতি এড়াতে আমরা যতটা সম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
একটি ভ্যাকসিন অথবা ওষুধভিত্তিক চিকিৎসা এই ভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান স্বীকার করে জনসন বলেন, আশাব্যঞ্জক এই ভ্যাকসিন তৈরি কর্মসূচির গতি ত্বরান্বিত করছে ব্রিটেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি অ্যাস্ট্রজেনিকা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। ভ্যাকসিনটি প্রস্তুত হলে দ্রুত উৎপাদনের জন্য চুক্তি হয়েছে তাদের।
যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত ৩২ হাজার ৬৫ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা; যা বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং ইউরোপে সর্বাধিক। এছাড়া দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২৩ হাজার ৬০ জন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে ছিলেন। কয়েক সপ্তাহের চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কাজ শুরু করেছেন তিনি।
সূত্র: পিটিআই।