করোনার কারণে তেলের বাজারে প্রভাব পড়ায় দেশটিতে ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (ভ্যাট) তিনগুণ করা হয়েছে। ইস্তাম্বুলের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ ইব্রাহীম মনে করছেন, এই পদক্ষেপ ওমরাহ এবং হজযাত্রা আরও ব্যয়বহুল করতে পারে।
তুর্কি সংবাদ মাধ্যম আনাদলুকে ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলার জন্য গৃহীত পদক্ষেপ ও বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেলের দামে ধস পড়ার কারণে সৌদি আরবের অর্থনীতিতে দ্বিগুণ ধাক্কা লেগেছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে জীবনযাত্রার মান স্থগিত করার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ইব্রাহিম বলেন, এসব পদক্ষেপের ফলে ওমরাহ ও হজযাত্রাসহ অনেক কিছুর ব্যয় বাড়িয়ে তুলবে।
সৌদি কর্তৃপক্ষ দেশের বাজেটের ঘাটতির তীব্রতা দূর করতে হজ ও ওমরাহ ফি বাড়িয়ে দিতে পারে, তিনি যোগ করেন।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর দেশটি তীর্থ যাত্রীদের কাছ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব আয় করে। এসব ধর্মীয় অনুষ্ঠান দেশটিতে নন-অয়েল জিডিপির ২০ শতাংশ এবং মোট জিডিপির ৭ শতাংশ অবদান রাখছে।
সম্প্রতি সৌদি আরবের অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আল জাদান দেশটিতে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করার ঘোষণা দেন। যা জুলাই থেকে কার্যকর করা হবে জানানো হয়েছে।
তুর্কি বিশেষজ্ঞ ইব্রাহিম বলেন, সৌদি আরবের রাজস্বের অন্যতম ব্যাংক ছিল তেল। কিন্তু তেলের দামে ধস নামার কারণে সরকারি রাজস্বে এর প্রভাব পড়ে। ফলে বড় ধরনের বাজেট ঘোষণা কষ্টসাধ্য হবে দেশটির জন্য।
তিনি বলেন, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের তথ্যানুযায়ী দেশটিতে ৯.১ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি রয়েছে। তেলের রাজস্ব ক্ষতিপূরণের জন্য বিকল্প অনুসন্ধান করছে রিয়াদ, তিনি যোগ করেন।