বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট সন্তোষজনক বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আনিসুজ্জামানের ছেলে আনন্দ জামান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত শনিবার বাবাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে তার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই আছে।
আনন্দ বলেন, ‘হৃদরোগ ও কিডনির সমস্যা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফল সন্তোষজনক। এখন সংক্রমণ ঠেকানোই চিকিৎসকদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
‘চিকিৎসকরা যদি তার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন, তবেই তাকে তারা স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন বলে বিবেচনা করবেন,’ যোগ করেন আনন্দ জামান।
গত ২৭ এপ্রিল হৃদরোগ সমস্যার পাশাপাশি কিডনি ও ফুসফুসে জটিলতা, পারকিনসন্স, প্রোস্টেটের সমস্যা ও রক্তে সংক্রমণের সমস্যা নিয়ে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে রাজধানীর ইউনিভার্সেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের চিফ কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক খন্দকার কামরুল ইসলামের অধীনে করোনারি কেয়ার ইউনিটে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান এর আগে ফুসফুসের সংক্রমণসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তারও আগে দেশের বাইরে গিয়ে কয়েকবার চিকিৎসা নেন তিনি। জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ভারত ভাগের পর তার পরিবার এপার বাংলায় চলে আসে। তিনি ছয় দশকেরও বেশি সময় শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে জড়িত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার আগে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ভাষা আন্দোলন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনসহ পরবর্তী প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে তিনি ওতপ্রোত জড়িত ছিলেন। এছাড়া ধর্মান্ধতা ও মৌলবাদবিরোধী নানা কর্মকাণ্ডে সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব আনিসুজ্জামানের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে।