শনাক্তের সংখ্যা যত বাড়বে ঝুঁকি তত কমবে: জাহিদ মালেক

মত ও পথ প্রতিবেদক

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালিক
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের শনাক্তের সংখ্যা যত বাড়বে ঝুঁকি তত কমবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এজন্য সরকার বেশি বেশি নমুনা পরীক্ষার ওপর জোর দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যত বেশি আক্রান্ত মানুষ চিহ্নিত হবে তত আক্রান্তের ঝুঁকিও কমবে। এই নমুনা পরীক্ষা খুব দ্রুতই ১০ হাজার এবং এরপর তা ১৫ হাজারে নিয়ে যাওয়া হবে। এর জন্য সরকারের হাতে পর্যাপ্ত কিটসও মজুদ আছে।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নার্সিং ও মিড ওয়াইফারি অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে নবনিযুক্ত পাঁচ হাজার নার্সের নিয়োগ বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

করোনায় মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় শুরু থেকেই জোরালো প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। হাসপাতাল বেড বৃদ্ধি, পিপিই মজুদ বৃদ্ধি করাসহ এখন প্রতিদিনই নতুন নতুন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

করোনার প্রকোপে মানুষ অপ্রয়োজনে বাইরে দলবেঁধে ঘুরছে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, ‘জরুরি কাজ ছাড়াও সাধারণ মানুষজন অহেতুক বাইরে ভিড় করছে। মানুষের জীবিকার তাগিদে সরকারকেও সীমিত পরিসরে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কল কারখানা খুলে দিতে হয়েছে। এসব কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হয়তো আরও কিছু বৃদ্ধি পেতেও পারে। তবে এই বৃদ্ধি দেশে খুব বেশি ক্ষতিকর কিছু হবে না। সরকার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলেই আজ বিশ্বের আক্রান্ত অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে আক্রান্ত ও মৃত্যু দুটোই কম।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘৫০৫৪ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান উল্লেখ করার মতো। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দুই হাজার চিকিৎসক ও ছয় হাজার নার্স নিয়োগের বিষয়টি তুলে ধরার সাথে সাথেই তিনি একদিনেই ফাইল মঞ্জুর করে দেন। তাই, নবনিযুক্ত নার্সদের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত এবং কোভিড-১৯ সেবায় আলাদারকম দরদ দিয়ে কাজ করা উচিত।’

নতুন পাঁচ হাজার নিয়োগ দেয়ায় এখন চিকিৎসাখাতে ৪৩ হাজার নার্স যুক্ত হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আরও ১৫ হাজার নার্স, মিডওয়াইফারি ও টেকনোলজিস্ট নিয়োগের অনুমোদন পাওয়া গেছে বলে অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান।

নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ইকবাল আর্সেনাল, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে