চুয়াডাঙ্গায় টর্নেডোয় বহু বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে চুয়াডাঙ্গা জেলার উপর আঘাত হানা এই ঝড়ের স্থায়িত্ব আধা ঘণ্টার মতো হলেও মূল টর্নেডোর ছিল ৫ মিনিটের মতো।
ভয়াবহ এই ঝড়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে ভেঙে পড়েছে শত শত গাছপালা। বাড়ি ঘর ভেঙে গৃহহীন হয়ে পড়েছে শত শত মানুষ। অনেকে মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকুও হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ২৫ জন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২৫ মিনিটে চুয়াডাঙ্গায় আঘাত হানে টর্নেডো। প্রথমে ভারী বৃষ্টি ও পরে প্রচণ্ড বেগে টর্নেডো আঘাত হানে। এতে জেলা সদরসহ দামুড়হুদা, জীবননগর ও আলমডাঙ্গা উপজেলার বিস্তৃর্ণ গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। টর্নেডো স্থায়ী ছিল ৩০ মিনিট।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক সামাদুল হক জানান, টর্নেডোর স্থায়িত্ব আধা ঘণ্টা হলেও মূল টনের্ডো ছিল ৫ মিনিটের মতো। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটার। বৃষ্টি হয়েছে ৩১ মিমি।
টর্নেডোর কারণে জেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে শত বছরের অসংখ্যা গাছপালাসহ শতশত গাছাপালা উপড়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে কয়েকশ কাঁচা ও আধা পাকা বাড়ি ঘর ও টিনের ছাউনি। জেলার অনেক স্থানে বড় বড় গাছ ভেঙে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
টর্নেডোর পর থেকে জেলার চারটি উপজেলাতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে ইন্টারনেট সেবাও।
টর্নেডোর আঘাতে জেলার চারটি উপজেলার বিস্তৃণ জমির ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।