ছোট পর্দা ও বড় পর্দা সব মাধ্যমেই তুমুল জনপ্রিয় তিনি। একেক সময় একেক চরিত্র হয়ে দর্শকদের আনন্দ দিয়ে আসছেন। কখনো দর্শকের হৃদয়ে নাড়া দিয়ে আসছেন অভিনয়ের মাধ্যমে। তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।
আয়নাবাজি সিনেমায় ‘আয়না’ চরিত্রটিতে অভিনয় করে দর্শক মাতিয়েছেন চঞ্চল। এখনো মানুষের মুখে মুখে ঘোরে ‘বোঝো নাই ব্যাপারটা’ ডায়ালগটি। সম্প্রতি আয়নাবাজি সিরিজের চঞ্চল চৌধুরী হাজির হয়েছেন ভিন্নভাবে। এখানে করোনা রোগীর চরিত্রে অভিনয় করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন তিনি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে আয়নাবাজির আয়না।
আয়নাবাজির চরিত্রগুলো নিয়ে তিন পর্বের একটি সিরিজি নির্মাণ করেছেন অমিতাভ রেজা। এখানে আয়না চরিত্রটিকে অত্যন্ত সাহসীভাবে উপস্থাপন করে হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরেও সে ভেঙে পড়ে না। এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার আত্মবিশ্বাস রাখে। নিজেকে ঘরে বন্দি রেখে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে আয়না। চঞ্চল এই চরিত্রটিতে অভিনয়ের মাধ্যমে একটি বার্তায় যেনো দিতে চেয়েছেন। তা হলো- আত্মবিশ্বাসী হলে করোনার মতো রোগ থেকেও বেঁচে ওঠা সম্ভব।
আরও একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে আয়নাবাজি সিরিজে। সেটি হলো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষকে দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বরং এই সময় তাকে সহযোগিতা করা উচিত তার পাশে দাঁড়িয়ে। রোগীকে ঘরে থাকতে সহযোগীতা করতে হবে সুস্থ মানুষদেরই। তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, বাজার-দ্রব্য, পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দিতে হবে তার বাসায়।
আয়নাবাজি সিরিজের চরিত্রগুলো প্রসঙ্গে চঞ্চল বলেন, এই সিরিজে হাজির হয়েছে আয়নাবাজি সিনেমার জনপ্রিয় চরিত্রগুলো। এখানে ‘আয়না’ চরিত্রটিতে আমি অভিনয় করেছি। ‘হৃদি’ চরিত্রটিতে নাবিলা অভিনয় করেছেন ও ক্রাইম রিপোর্টার সাবের চরিত্রে পার্থ বড়ুয়া অভিনয় করেছেন। আয়নাবাজি সিনেমার জনপ্রিয় এই তিনটি চরিত্র মূলত করোনা থেকে মানুষদের সচেতন করেছে। মানুষ এই সিরিজটি দেখে সচেতন হলে আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে।
সিরিজটি আয়নাবাজি টিমের পক্ষ থেকে করোনাকালীন সময়ে এটা একটা উদ্যোগ। ব্র্যাকের ব্যানারে এটা প্রচার হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে এটা থেকে যা আয় হবে, সেটা করোনা আক্রান্ত রোগী কিংবা যারা অসহায় দিনযাপন করছেন তাদের সহযোগিতা জন্য ব্যয় করা হবে।