বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে সর্বোচ্চ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের রেকর্ড হয়েছে। নতুন শনাক্তের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ২৭৩ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২২হাজার ২৬৮জনে দাঁড়াল। এছাড়া এই সময়ে মারা গেছেন আরও ১৪ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু ৩২৮জনের। আর নতুন সুস্থ হয়েছেন ২৫৬জন।
রবিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে করোনা ভাইরাস সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার ২১টি ও ঢাকার বাইরের ২১টি ল্যাবে মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৮ হাজার ৫৭৪টি। এর মধ্যে ৮ হাজার ১১৪টি পরীক্ষা করে ১২৭৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এটি একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এর আগে গত ১৫মে ১ হাজার ২০২জন শনাক্তের রেকর্ড হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২২ হাজার ২৬৮ জনে।
এছাড়া এই সময়ে মৃত্যু বরণ করেছেন ১৪ জন। এদের ১ জন নারী ও ১৩জন পুরুষ। এদের মধ্যে ঢাকা সিটির আছেন ৫ জন।
মৃতরা বয়স বিবেচনায় ১১-২০ বছরে মধ্যে ১ জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ৩জন আছেন।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সুস্থ হয়েছেন ২৫৬জন। এ নিয়ে মোট ৪ হাজার ৩৭৩জন সুস্থ হয়েছেন।
এছাড়া গত ২৪ঘণ্টায় নতুন আইসোলেশনে এসেছেন ৭৬জন।
ব্রিফিংয়ে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে অধ্যাপক নাসিমা বলেন, তরল খাবার, কুসুম গরম পানি ও আদা চা পান করবেন। সম্ভব হলে মৌসুমী ফল খাবেন ও ফুসফুসের ব্যায়াম করবেন। এ সময় ধূমপান ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এটি ফুসফুসের কার্যকারীতা নষ্ট করে দেয়।
চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল আইইডিসিআর।
এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার।
ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি, যা এখনও অব্যাহত আছে। ৭ম দফায় বাড়ানো ছুটি চলবে ৩০ মে পর্যন্ত।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার তথ্যানুযায়ী রবিবার সকাল পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ১৩ হাজার ২২০ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ লাখ ২০ হাজার ১৯৬ জন। অপরদিকে ১৮ লাখ ১১ হাজার ৬৭৪ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।