জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ও অ্যাডভোকেট মমতাজ বেগম আর নেই (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন) । শনিবার (১৬ মে) দিনগত রাতে ঢাকার ভুতের গলি এলাকায় তার নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
অধ্যাপক মমতাজ বেগম ১৯৪৬ সালের ১৩ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমানের সহধর্মিণী। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, এক মেয়ে, এক ছেলে, আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
অধ্যাপক ও অ্যাডভোকেট মমতাজ বেগমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে ঢাকায় বসবাসকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবাসীদের সংগঠন ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি, ঢাকা’।
জেলা সমিতির পক্ষ থেকে পাঠানো এক শোকবার্তায় মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি ঢাকা-এর সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
শোকবার্তায় মোকতাদির চৌধুরী বলেন, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম ছিলেন একজন মহিয়সী নারী। তিনি ছয় দফা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিপর্বে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি ছিলেন গণপরিষদের সদস্য ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুব কাছে থেকে রাজনীতি করেছেন। আমৃত্যু তিনি এদেশে নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কাজ করে গেছেন। তার মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। সেই শূন্যস্থান পূরণ হওয়ার নয়।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক মমতাজ বেগম বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি। নারী উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি বেগম রোকেয়া পদকে ভূষিত হন। তিনি ছিলেন গণপরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য।