করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে মাঠের সম্মুখযোদ্ধা বাংলাদেশ পুলিশে প্রতিনিয়তই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত বাহিনীটিতে আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে পুলিশ বাহিনীর ৩ হাজার ২৩৫ জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন বাহিনীটির ১১ জন সদস্য।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) পুলিশ সদর দপ্তরের সবশেষ আপডেট অনুযায়ী এ তথ্য জানা যায়।
শুধু ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ১ হাজার ২৭৭ জন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। যা পুলিশের একক কোনো ইউনিটের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এদিকে, করোনা আক্রান্ত ৫৬৯ জন পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার (২১ মে) পর্যন্ত পুলিশের ১০২ জন সদস্য হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। বুধবার (২০ মে) রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান করোনা আক্রান্ত ১৮১ পুলিশ সদস্য। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
করোনা যুদ্ধে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ১১ জন সদস্য আত্মোৎসর্গ করেছেন। যাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার (২১ মে) দু’জনের মৃত্যুর খবর জানায় পুলিশ সদর দপ্তর।
করোনায় মৃত্যুবরণ করা পুলিশ সদস্যরা হলেন- ডিএমপির কনস্টেবল জালাল উদ্দিন খোকা, এএসআই শ্রী রঘুনাথ রায়, কনস্টেবল জসিম উদ্দিন, এএসআই মো. আব্দুল খালেক, কনস্টেবল মো. আশেক মাহমুদ, এসআই সুলতানুল আরেফিন, এসবির এসআই নাজির উদ্দীন, এসআই মো. মজিবুর রহমান তালুকদার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কনস্টেবল মো. নঈমুল হক, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কনস্টেবল মোখলেসুর রহমান এবং ডিএমপির নায়েক মো. আল মামুনুর রশিদ।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ করোনাক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন। আইজিপির নির্দেশনা অনুযায়ী করোনাক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সার্বিক পর্যবেক্ষণের জন্য গঠন করা হয়েছে ‘বিশেষ টিম’।
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ও বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল ছাড়াও রাজধানী ঢাকা ও বিভাগীয় শহরে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন বেসরকারি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।