রাজধানীর ২৪ খালের গতি ফিরছে বর্ষার আগেই

ডেস্ক রিপোর্ট

রাজধানী খাল
ফাইল ছবি

আসন্ন বর্ষার আগেই রাজধানীর ২৪টি খালের খননকাজ কাজ শেষ করতে চলেছে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। এই কার্যক্রম পুরোপুরি শেষ হলে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায় গতি ফিরবে। এছাড়া খালগুলোতে অবাধ পানি চলাচলের পাশাপাশি পানির ধারণ ক্ষমতাও বাড়বে।

গত মার্চ মাসে এই ২৪টি খাল খনন ও পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম শুরু করে ঢাকা ওয়াসা। বর্ষার আগেই তথা জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে সবগুলো খালের খনন কাজ ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শেষ করার টার্গেট রয়েছে।

universel cardiac hospital

বর্ষা শুনতেই কপালে ভাঁজ পড়ে রাজধানীবাসীর। কারণ বৃষ্টিতে রাজধানীর সড়ক জলমগ্ন হয়ে পড়ার পয়ঃনিষ্কাশন খালের পানিতে একাকার হয়ে যায় রাজধানীর অনেক এলাকা। নোংরা পানি ঢুকে যায় বাসা-বাড়িতে। ভোগান্তি পোহাতে হয় নগরবাসীকে।

তবে এবার বর্ষার আগে পয়ঃনিষ্কাশন খালের খনন কাজ শেষ হতে চলেছে বিধায় মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি না হলে তেমন জলজটের সম্ভাবনা নেই বলে দাবি করছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। আর জলজট হলেও তা স্থায়ী হবে না বলেই মনে করছে ওয়াসা।

রাজধানীর রামচন্দ্রপুর খাল, কল্যাণপুর খাল, কামরাঙ্গীর চর খাল, সাংবাদিক কলোনি খাল, মিরপুর খাল সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি খালেই ময়লার স্তুপ। ঘরবাড়ি থেকে নিয়মিত ময়লা ফেলা হচ্ছে খালগুলোতে। আশপাশের বাজার ও দোকানের ময়লা অবর্জনার শেষ ঠিকানা এই খাল।

খালের বিভিন্ন স্থানে দেখলে মনে হয়, ময়লা ফেলার জন্য হয়ত খালে নির্দিষ্ট জায়গা করা হয়েছে। খালে ফেলা হচ্ছে নির্মাণাধীন ভবনের নানা আবর্জনাও। দিনের পর দিন ময়লা ফেলার কারণে খাল হারাচ্ছে তার গভীরতা, বাধা পাচ্ছে খালে পানির অবাধ চলাচল। এর ফলে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে রাজধানীতে দেখা দেয় জলজট।

তবে এবার বর্ষায় রাজধানীবাসীকে জলজটের ভোগান্তি তেমন পোহাতে হবে না বলেই মনে করছেন ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক শহিদুল ইসলাম।

তিনি জানান, রাজধানীর খালগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ওয়াসার হওয়ায় ২৬টি খালের মধ্যে ২৪টি খালের ময়লা পরিষ্কার এবং খালগুলো খননের কাজ গত মার্চ মাসে হাতে নেয়া হয়েছে। আগামী জুনের মাঝামাঝি সময়ে এই কাজ শেষ হবে।

শহিদুল ইসলাম বলেন, খালগুলো থেকে অবর্জনা তোলা শেষ হলে পানির ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতে খালের পাশে রাস্তায় বা আশাপাশের বাড়িতে ঢুকবে না। মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি হলেও পানি অল্প সময়ের মধ্যেই নেমে যাবে।

তিনি বলেন, সাধারণত বাথরুমের ফ্লোরেও যখন মাত্রাতিরিক্ত পানি ঢালা হয় তখন সেখানেও পানি জমে। আবার কিছুক্ষণ পর নেমে যাবে। কারণ পাইপের একটা মাপ আছে। খালের অবস্থাও ঠিক তাই। যখন অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হবে, তখন সে পানি নামতে কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু পানি জমে থাকবে না।

ময়লা আবর্জনার কারণে খালের গভীরতা নষ্ট হওয়ার বিষয়ে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে উল্লেখ করে শহিদুল ইসলাম বলেন, যখন ময়লা রাস্তায় থাকে তখন তা সিটি করপোরেশনের। যখন তা খালে পড়ে তখন তা ওয়াসার। ময়লা খালে না ফেললেই তো হয়।

রাজধানীর বিভিন্ন খালে দখল ঠেকাতে ওয়াসার পদক্ষেপের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, খাল দখল ঠেকাতে খালের পাড় বাঁধাই করা হবে। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। পাড় বাঁধাই হলে দখল অনেকটা কমে যাবে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে