এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত বিশ্বের গভীরতম সোনার খনিতে হানা দিয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। জোহানেসবার্গের দক্ষিণ-পশ্চিমের এমপোনেং সোনা খনির ১৬৪ জন শ্রমিকের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
বিশ্বের গভীরতম এই খনির শ্রমিকরা করোনা সংক্রমিত হওয়ার পর সেখানকার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটিতে লকডাউন ঘোষণা করার পর গত মার্চ থেকে এই খনির কার্যক্রম বন্ধ ছিল। কয়েকদিন আগে লকডাউনে শিথিলতা আনায় খনির কাজ পুনরায় শুরু হয়।
খনির ৫০ শতাংশ শ্রমিককে কাজে ফেরানো হলেও নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন শ্রমিকরা। এই খনির ১৬৪ জন শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হলেও তাদের কোনও লক্ষণ ছিল না।
খনির মালিক অ্যাঙ্গলো গোল্ড অশান্তি বলছে, বর্তমানে করোনা সংক্রমিত শ্রমিকদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো একজনের শরীরে করোনা ধরা পড়ার পর ৬৫০ জন শ্রমিকের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত এখন সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ আফ্রিকায়। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৩৪৩ এবং মারা গেছেন ৪০৭ জন।
এমপোনেং স্বর্ণ খনি জোহানেসবার্গ শহর থেকে ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার গভীরে এই স্বর্ণখনির অবস্থান।
অ্যাঙ্গলো গোল্ড অশান্তি এক বিবৃতিতে বলেছে, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের জন্য খনির কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে।
বিবিসির দক্ষিণ আফ্রিকা সম্পাদক উইল রস বলেছেন, দেশটির একটি প্ল্যাটিনাম খনিতে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর স্বর্ণের খনিতেও তা পৌঁছে গেল। অন্যান্য কোম্পানির পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন।