প্রাণঘাতী সংক্রামক ব্যাধি করোনাভাইরাসের কারণে টানা দুই মাস বন্ধ থাকার পর ভারতে আজ সোমবার থেকে চালু হলো অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট। তবে আপাতত দিল্লি, মহারাষ্ট্রসহ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে চলবে বিমান। আর পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও অন্ধ্র প্রদেশে এ পরিষেবা চালু হবে আরও কিছুদিন পর।
করোনার সংক্রমণ রোধে গত ২৫ মার্চ থেকে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছিল ভারত। সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ বাড়লেও দুই মাস বন্ধ থাকা অর্থনৈতিক কার্যক্রম ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটি। এ নিয়ে রোববার স্থানীয় বিমান সংস্থা ও রাজ্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী হরদ্বীপ পুরী। এরপরেই টুইটারে তিনি জানান, অনেক চেষ্টার পর বিমান চলাচল শুরু করতে রাজি হয়েছে রাজ্যগুলো। সোমবার থেকেই শুরু হচ্ছে এ কার্যক্রম।
বিমান চলাচল চালু করায় মূলত আপত্তি ছিল ভারতে করোনা সংক্রমণের হটস্পট মহারাষ্ট্র, আম্ফান-বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্র প্রদেশের। নানাভাবে বোঝানোর পর অবশেষে রাজি হয়েছে মহারাষ্ট্র। অন্ধ্রে এ সেবা শুরু হবে মঙ্গলবার থেকে।
আর পশ্চিমবঙ্গে আগামী ২৮ মে থেকে বিমান চলাচল করবে কলকাতা ও বাগডোগরা থেকে। ত্রিপুরা জানিয়েছে, যেহেতু তাদের সব বিমানই কলকাতার সঙ্গে যুক্ত, তাই সেখানে না শুরু হওয়া পর্যন্ত তারা এটি চালু করতে পারছে না।
এদিকে, দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে ভিন্ন ভিন্ন কোয়ারেন্টাইন নীতির কারণে দেখা দিয়েছে জটিলতা। যেমন- আসাম-উত্তর প্রদেশ জানিয়েছে, রাজ্যগুলোতে পৌঁছালেই যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। পাঞ্জাব ও কর্ণাটকে বিভিন্ন মাত্রায় কোয়ারেন্টাইন চলছে। তবে দিল্লি জানিয়েছে, তারা উপসর্গবিহীন কাউকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠাবে না।
ভারতে করোনা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। ইতোমধ্যেই দেশটিতে ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি আক্রান্ত ও সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। এর মধ্যে বিমান চলাচল শুরু করায় সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।