হাজি মকবুল হোসেনের মৃত্যুতে মোকতাদির চৌধুরী’র শোক

মোহাম্মদ সজিবুল হুদা

মকবুল হোসেন-মোকতাদির চৌধুরী
মকবুল হোসেন-মোকতাদির চৌধুরী

নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজি মকবুল হোসেন। ২৪ মে (রোববার) রাত নয়টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

হাজি মকবুল হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

গণমাধ্যমে পাঠানো শোকবার্তায় মোকতাদির চৌধুরী বলেন, হাজি মকবুল হোসেন ছিলেন একজন সহৃদয়বান এবং শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব। তাঁর সঙ্গে আমার খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তিনি আমৃত্যু মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। জাতির সংকটময় মুহূর্তে এই দানবীরের মৃত্যু দেশে অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি করেছে। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

একইসঙ্গে হাজি মকবুল হোসেনের সহধর্মিণী দ্রুত আরোগ্য কামনা করে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ভাবী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিৎসাধীন। আমি তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।

উল্লেখ, করোনাভাইরাস সঙ্কটের মধ্যেই মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ বিতরণ করে যাচ্ছিলেন মকবুল। সর্বশেষ গত ১৪ মে তিনি মোহাম্মদপুরের বাসায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন।

এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার স্ত্রীও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মকবুল হোসেন ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৯ আসন থেকে নির্বাচিত হন। তখন ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুর মিলিয়ে একটিই আসন ছিল। তবে নবম সংসদ নির্বাচনের আগে আসন পুনর্বিন্যাসের পর ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর দুটি আলাদা আসন হয়। এখন মোহাম্মদপুর আসনটি ঢাকা-১৩।

প্রথমবার সংসদ সদস্য হয়ে বলতে গেলে পাঁচ বছর ধরেই আলোচনায় ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা মকবুল হোসেন।

২০০১ সালে নির্বাচনে পরাজয়ের পর পাঁচ বছর বিএনপি-জামায়াত জোটের সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয়ও ছিলেন মকবুল হোসেন। তবে ১/১১ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরেই তিনি রাজনীতি থেকে অনেকটা নির্বাসনে চলে যান।

মকবুল হোসেন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ছিলেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগের দায়িত্ব নিয়ে সংগঠনকে গোছাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

রাজনীতির বাইরেও জনসেবায় মকবুলের সুনাম আছে। রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ কারণে ওই এলাকায় তার একটা শক্ত অবস্থান ছিল।
তেজগাঁওয়ের শমরিতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান মকবুল একাধিক ইন্সুরেন্স কোম্পানিরও মালিক। এছাড়া সিটি ইউনিভার্সিটিতে মালিকানার পাশাপাশি মোহাম্মদপুরে নিজের নামে কলেজও রয়েছে তার।

তার ছেলে আহসানুল ইসলাম টিটু টাঙ্গাইল-৬ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে