সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুরের স্থল ইউনিয়নে যমুনা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় শিশুসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও ৩০ জনের মতো নিখোঁজ। ৩৫-৪০ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করে স্থলচর বাজারে রাখা হয়েছে। ডুবে যাওয়া নৌকার বেশিরভাগ যাত্রীই ধান কাটার শ্রমিক ছিলেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (২৬ মে) দুপুরে নৌকাটি ডুবে যায়।
নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- বেলকুচি উপজেলার গয়নাকান্দি গ্রামের ধান কাটা শ্রমিক পাষান আলী (৬৫) এবং টাঙ্গাইল নাগরপুরের ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি শেখ কামাল হোসেন (৪০)। নিহত শিশুর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান মওদুদ আহমেদ জানান, শিশুটির মা-বাবাসহ কমপক্ষে ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা নিখোঁজদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
চৌহালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, এনায়েতপুর থেকে ৮০-৯০ জন যাত্রী নিয়ে চৌহালীর দিকে যাওয়ার পথে স্থলচর এলাকায় নৌকাটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় এক শিশুসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত নৌকার ৩৫-৪০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে স্থলচর বাজারে রাখা হয়েছে। যাত্রীদের বেশিরভাগই ধান কাটার শ্রমিক। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে কাজ করছে।
- আরও পড়ুন >> রংপুরে মদপানে ঈদ উদযাপন: একসঙ্গে ৬ জনের মৃত্যু
স্থলচর ইউনিয়নের সদস্য (মেম্বার) আব্দুন নূর জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে এনায়েতপুর থানার অদূরের ঘাট থেকে জেলার চৌহালী উপজেলা সদরের দিকে যাত্রী পরিবহনকারী শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি ছেড়ে যায়। নৌকাটিতে ধান কাটার শ্রমিক বেশি ছিলেন। শ্রমিকরা টাঙ্গাইলের করটিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল। দুপুর পৌনে ২টার দিকে যমুনার স্থল নামক স্থানে নৌকাটি প্রবল ঢেউয়ের কবলে পড়ে। নৌকার মাঝি ইব্রাহীম হোসেন সাঁতরে পাড়ে উঠতে সক্ষম হলেও নারী ও পুরুষসহ কমপক্ষে ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।