চলতি বছর অক্টোবর আর নভেম্বরেই অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট। তবে করোনা মহামারির কারণে এই টুর্নামেন্টটিও পড়ে গেছে গভীর অনিশ্চয়তায়। শুধু তাই নয়, এই টুর্নামেন্টটি যে বাতিল হতে যাচ্ছে, তা মোটামুটি নিশ্চিতই বলা যায়। আগামী ২৮ মে আইসিসির বোর্ড সভায় হয়তো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা চলে আসবে।
এদিকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার আগেই আইসিসিসে পরবর্তী তারিখ বা সূচি নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে কোন জায়গাটায় এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সমন্বয় করা যায়, সে চিন্তা নিয়েই এখন অস্থির ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি।
ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়ায় একদিন আগেই রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে যে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাতিল হতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পাকা। শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটাই বাকি এখন।
এ বিষয়ে এরই মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে ফেলেছে আইসিসির সবচেয়ে শক্তিশালী অঙ্গ সংস্থা ফাইনান্সিয়াল অ্যান্ড কমার্সিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটি (এফএমসিএ)। টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী মানু সাওনি।
সেই বৈঠকে সবচেয়ে বড় এজেন্ডা ছিল, কখন এবং কিভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটাকে আয়োজন করা যায়? করোনা মহামারির কারণে ক্রিকেটই নয় শুধু সারা বিশ্বের সমস্ত খেলাধুলাই আবার কিভাবে মাঠে ফেরানো যাবে, সে চিন্তায় অস্থির।
- আরও পড়ুন >> গণস্বাস্থ্যের কিটের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল স্থগিত
আইসিসির সেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের বিষয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে একটি সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা ছিল, এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা। এটা এখন আয়োজন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এরপরের আলোচনা হলো, তাহলে ২০২১ সালে কিভাবে অস্ট্রেলিয়া এই টুর্নামেন্টটি আবার আয়োজন করবে? কারণ, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি এবং মার্চে আবার ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক।
জানা গেছে, এফএমসিএ’র কয়েকটি সদস্য দেশ, বিশেষ করে এই কমিটির সভাপতি আবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান এহসান মানি। তিনি পরের পয়েন্টটা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। তার আপত্তি তোলার কারণ কি? এহসান মানির বক্তব্য হলো, যদি ২০২১ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করা হয়, তাহলে এর পরের বছরই ফেব্রুয়ারি-মার্চে কিভাবে আরেকটি বিশ্বকাপের আয়োজন করা হবে? তাহলে কি ২০২১ সালে যে দলটি চ্যাম্পিয়ন হবে, তারা শুধুমাত্র ৬ মাসের জন্য চ্যাম্পিয়ন হবে? এটা কিভাবে সম্ভব?
তবে এখনও এ বিষয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাদের কোনো মতামত ব্যক্ত করেনি। দ্বিতীয়ত, বিসিসিআই আইসিসির রাজস্ব আয়ের যে অংশীদার, তাতে তাদেরকেই ২০২১ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেয়া হোক। এই প্রস্তাব ওঠার পরেও এ নিয়ে এখনও কোনো উচ্চবাচ্য করেনি ভারত।