দশকের সেরা ওয়ানডে দল বেছে নিলেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ইয়ান বিশপ। তাঁর দলে জায়গা পেয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ভারত থেকে আছেন তিনজন। দলের অধিনায়কও এক ভারতীয়। তবে অবাক করান বিষয় হলো, বিশপের দলে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের কোনো ক্রিকেটার নেই। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো ক্রিকেটারেরও জায়গা হয়নি দলে।
যারা আছেন ইয়ান বিশপের দশকসেরা ওয়ানডে একাদশে
রোহিত শর্মা (ভারত): ইয়ান বিশপের দলের হয়ে ওপেন করবেন ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা। ‘হিটম্যান’ এই ফরম্যাটে তিনবার ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। ইংল্যান্ডে হওয়া গত বিশ্বকাপে পাঁচটি সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। যা রেকর্ড। বড় ইনিংস খেলার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর।
ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া): রোহিতের সঙ্গে থাকবেন ডেভিড ওয়ার্নার। ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন থাকছে ওপেনিংয়ে। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার বিধ্বংসী মেজাজে শুরু করেন। দলকে টানার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। গত বিশ্বকাপে রোহিতের মতো ওয়ার্নারও ছিলেন ধারাবাহিক।
বিরাট কোহলি (ভারত): তিন নম্বরে থাকছেন বিরাট কোহলি। তিনি হলেন চেজমাস্টার। তবে শুধু রান তাড়া করাই নয়, প্রথমে ব্যাট করে দলকে বড় রানের নিরাপত্তায় পৌঁছে দিতেও পারেন। এই ফরম্যাটে ৪৩ সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন তিনি। গড় ৫৯.৩৩।
এবি ডি ভিলিয়ার্স (দক্ষিণ আফ্রিকা): চারে দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স। তাঁকে ৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটসম্যান বলা হয়। মাঠের সব প্রান্তে শট খেলার অবিশ্বাস্য দক্ষতা রয়েছে তাঁর। ৫৩.৫০ গড়ে ৯৫৭৭ রান করেছেন তিনি এক দিনের ক্রিকেটে। শতরানের সংখ্যা ২৫।
রস টেইলর (নিউজিল্যান্ড): পাঁচে রস টেলর। কিউই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ৪৮.৪৪ গড়ে করেছেন ৮৫৭৪ রান। রয়েছে ২১ শতরান। চাপের মধ্যে দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। বিশাল অভিজ্ঞতাও বিপক্ষ বোলারদের চাপে ফেলবে।
সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ): বিশপের দলের অলরাউন্ডার হলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশি এই বাঁ-হাতি ব্যাটে-বলে দলের সম্পদ। ওয়ানডেতে ব্যাটে ৬৩২৩ রান করার পাশাপাশি ২৬০ উইকেটও নিয়েছেন তিনি। গত বিশ্বকাপে তিন নম্বরে নেমে তিনি ভরসা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটিংকে। সঙ্গে দশ ওভারের নিখুঁত বোলিংও ছিল।
মহেন্দ্র সিং ধোনি (ভারত): দলের অধিনায়ক হলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। উইকেটকিপার ও ব্যাটসম্যান মিলিয়ে দলের থ্রি-ডি ক্রিকেটার তিনিই। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফিনিশারও তিনি। তাছাড়া উইকেটের পিছন থেকে বোলারদের নির্দেশ দেওয়াতে কাজে আসবে তাঁর অগাধ অভিজ্ঞতা।
মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া): এবার বোলিং বিভাগ। মিচেল স্টার্ক আসবেন নতুন বল হাতে। অস্ট্রেলিয়ার বাঁ-হাতি পেসার ২২.২২ গড়ে নিয়েছেন ১৭৮ উইকেট। স্ট্রাইক রেট ২৬.১। পাঁচ উইকেট নিয়েছেন সাত বার। এর সঙ্গে লোয়ার অর্ডারে বড় শট নিতেও পারেন।
ডেল স্টেইন (দক্ষিণ আফ্রিকা): নতুন বলে দৌঁড় শুরু করবেন ডেল স্টেইনও। দক্ষিণ আফ্রিকার ডানহাতি পেসার গতির সঙ্গে সুইং মিশিয়ে ব্যাটসম্যানদের রাখেন ধাঁধায়। এই সময়ের সেরা পেসারদের তালিকায় উপরের দিকেই থাকেন তিনি। ২৫.৯৫ গড়ে তিনি নিয়েছেন ১৯৬ উইকেট।
লাসিথ মালিঙ্গা (শ্রীলঙ্কা): লাসিথ মালিঙ্গা হলেন আর এক জন পেসার। যাঁকে স্লগ ওভারে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। এই ফরম্যাটে ৩৩৮ উইকেট রয়েছে তাঁর। স্লিং অ্যাকশনের মালিঙ্গাকে মারা কঠিন।
রশীদ খান (আফগানিস্তান): দলের বিশেষজ্ঞ স্পিনার হলেন রশীদ খান। রিস্টস্পিনার তিনি। আফগানিস্তানের এই লেগস্পিনার ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করতে পারেন গুগলি-ফ্লাইটের কারিকুরিতে। বয়স মাত্র ২১। ১৮.৫৪ গড়ে এর মধ্যেই নিয়ে ফেলেছেন ১৩৩ উইকেট।