মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে চলমান সাধারণ ছুটি আর না বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সীমিতভাবে গণপরিবহন (বাস, নৌযান ও ট্রেন) চালু হতে যাচ্ছে। বুধবার (২৭ মে) রাতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ৩১ মে থেকে সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সড়কে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীবাহী নৌযান ও ট্রেনও চলাচল করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোটকথা স্বাস্থ্যবিধি মেনে, স্বল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলবে। গণপরিবহন চলাচলের বিষয়টি আমরা স্থানীয় প্রশাসন থেকে ঠিক করে দেব। গণপরিবহন চালালে তো ঠাসাঠাসি করে চালানো যাবে না। সামাজিক দূরত্ব মেনেই চালাতে হবে। অবশ্যই যাত্রীদের মাস্ক ও গ্লভস ব্যবহার করতে হবে। এগুলো নিশ্চিত করেই মালিকদের গণপরিবহন চলাচলের ব্যবস্থাটা করতে হবে।’
৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কতটুকু নিয়মকানুন মেনে গণপরিবহন চলাচল করতে সেটা দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত আমরা নেব।’
মার্চ মাসের শুরুতে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম ধরা পড়ে। পরিস্থিতি ক্রম অবনতির দিকে যেতে থাকলে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। একই সঙ্গে গণপরিবহন চলাচলের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়তে থাকে। সঙ্গে বাড়তে থাকে গণপরিবহন চলাচলের নিষেধাজ্ঞাও। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি থাকবে, সেই পর্যন্ত গণপরিবহনও চলাচলও বন্ধ থাকবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না। আগামী ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত কঠোরভাবে বিধি-নিষেধ মেনে অফিস খোলা থাকবে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও চলবে। হাটবাজার, দোকান-পাট সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, বয়স্ক, অসুস্থ ও গর্ভবতী নারীরা আপাতত অফিসে আসবেন না। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকবে।