করোনায় একদিনে ২৮ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৭৬৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। ফাইল ছবি

মহামারি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে দেশে একদিনে আরও ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে ভাইরাসটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬১০ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৭৬৪ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৪৪ হাজার ৬০৮।

আজ শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। বুলেটিন পড়েন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি নতুন যুক্ত একটিসহ মোট ৫০টি আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় নয় হাজার ৯৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো দুই লাখ ৯৭ হাজার ৫৪টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে আরও এক হাজার ৭৬৪ জনের দেহে। ফলে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৬০৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও ২৮ জনের। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৮২ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৬০ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল নয় হাজার ৩৭৫ জনে।

গত শুক্রবারের (২৯ মে) বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ জন মারা গেছেন। ১১ হাজার ৩০১টি নমুনা পরীক্ষায় করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে আরও দুই হাজার ৫২৩ জনের দেহে, যা একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও বেড়েছে মৃত্যু। এটি যৌথভাবে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগে আরও একদিন ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সে তথ্য জানানো হয় গত ২২ মে’র বুলেটিনে।

বরাবরের মতোই বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।

চীনের উহান শহর থেকে গত ডিসেম্বরে ছড়ানো করোনাভাইরাসের প্রকোপে গোটা বিশ্ব মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬০ লাখে দাঁড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে তিন লাখ ৬৪ হাজার। তবে সোয়া ২৬ লাখের মতো রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে