জুনে করোনায় বাংলাদেশে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা

মত ও পথ প্রতিবেদক

করোনার ভয়াল রূপ
করোনার ভয়াল রূপ। ফাইল ছবি

লকডাউন সঠিকভাবে কার্যকর না হওয়ায় সারা দেশে করোনা ভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ ঘটায় জুন মাসে বাংলাদেশে করোনায় ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন ডক্টরস প্লাটফর্ম ফর পিপলস হেলথ।

চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, জুন মাস আমাদের জন্য কঠিন সময়। এই সময়ে করোনায় ব্যাপক প্রাণহানি ঘটতে পারে।

ডক্টরস প্লাটফর্ম ফর পিপল’স হেলথ আয়োজিত অনলাইন বৈঠকে চিকিৎসকরা তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইন বৈঠকের এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. শাকিল আখতার।

বৈঠকে চিকিৎসক নেতারা বলেন, প্রথমদিকে সরকারি পর্যায়ে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হলেও পরে কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালকে এই পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। প্রজ্ঞাপন জারি করে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা গরিব জনসাধারণের সাধ্যের বাইরে।

উপরন্ত এক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিস্তারিত বর্ণনা ও সমন্বয় না থাকায় চিকিৎসা ব্যবস্থায় হ-য-ব-র-ল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। চিকিৎসার সঠিক দিক-নির্দেশনা (গাইডলাইন) চিকিৎসকদের কাছে এখনো পৌঁছানো হয়নি বলে তারা দাবি করেন।

করোনা মোকাবিলায় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ অপ্রতুল ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে পারস্পরিক সাংঘর্ষিক বলেও বৈঠকে বলা হয়।

আলোচনা সভা থেকে ডক্টরস প্লাটফর্ম ফর পিপলস হেলথ বেশ কিছু দাবিনামা তুলে ধরেন। দাবিনামায় বলা হয়, অবিলম্বে ‘জাতীয় দুর্যোগ’ ঘোষণা করে কোভিড-১৯ চিকিৎসার সকল দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। প্রয়োজনে সরকারি হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালসমূহকে রিকুইজিশন করে করোনা আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবাকর্মী দ্রুত নিয়োগ দিতে হবে। একযোগে দেশব্যাপী কোভিড-১৯ রোগের লক্ষণযুক্ত রোগী খুঁজে পরীক্ষার জন্য মানসম্মত র‌্যাপিড টেস্ট কিট (সায়েন্স ল্যাবরেটরি / গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত অথবা এন্টিজেন /এন্টিবডি নির্ণয় টেস্ট কিট) অবমুক্ত করতে হবে।

দাবিনামায় আরও বলা হয়, বর্তমানে চলমান লকডাউন দৃঢ়ভাবে আরও কিছুদিন চালু রাখতে হবে। এ ছাড়া সরকার ঘোষিত ঝুঁকি বীমা ও ভাতা প্রদানে বেসরকারি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কেউ অসুস্থ হলে তার চিকিৎসার সমস্ত দায়ভার রাষ্ট্র বহন করতে হবে। সর্বোপরি এই দুর্যোগ মোকাবেলা করতে গিয়ে স্বাস্থ্যখাতের কারো মৃত্যু হলে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে