এখনই খোলা হচ্ছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান : প্রধানমন্ত্রী

মত ও পথ প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি উন্নতি হলে পর্যায়ক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীরা যাতে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত না হয় সেজন্য এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হবে না।’

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলা যাবে না। পরিস্থিতি দেখে তারপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে।’

universel cardiac hospital

রোববার (৩১ মে) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নেতৃত্বে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন।

পরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট থেকে ফেসবুক লাইভে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

ফল প্রকাশকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘হয়তো এখন আমরা কলেজ খুলব না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমরা খুলতে পারছি না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ধাপে ধাপে এগোতে চাচ্ছি। যাতে করে এই করোনাভাইরাস দ্বারা শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত না হয়, কারণ এরা আমাদের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ তো আমি ঝুঁকিতে ফেলতে পারি না। সেই কারণে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো উন্মুক্ত করব না। আমরা দেখি এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারলে পর্যায়ক্রমে আমরা তখন উন্মুক্ত করব।’

শিক্ষার্থীদের সময় নষ্ট না করে ঘরে বসে পড়াশোনা করার অনুরোধ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবাইকে অনুরোধ করব সবাই যেন ঘরে বসে পড়াশোনা করে। এটা একটা পড়াশোনার ভালো সুযোগও। আমদের নিজেদেরও এখন বেশি কাজ নেই- অনেক কিছু জানার ও পড়ার সুযোগ পাচ্ছি। সেটাও কম কথা না। এখানে আমি বলব সবাই মনযোগ দিয়ে পড়াশোনা করবে।’

দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে লেখাপড়া করে নিজেদের তৈরি করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করবে। সেটাই আমি চাই।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমি ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধ করব তারা লেখাপড়া শিখবে, মানুষের মতো মানুষ হবে। শিক্ষকদের বলব তাদের সেই শিক্ষাই দেবেন, এই শিক্ষাটা হচ্ছে শুধু নিজে ভালো থাকা না, দেশের কল্যাণে কাজ করা, মানুষের কল্যাণে কাজ করা। যেটা জাতির পিতা আমাদের বারবার শিখিয়েছেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের কল্যাণেই যেন তারা নিবেদিত প্রাণ হয় সেই শিক্ষাই তারা যেন গ্রহণ করে, দেশকে ভালবাসা, মানুষকে ভালবাসা, মানুষের প্রতি কর্তব্যপালন করা। ’

এ সময় গণভবন প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে