বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ২৫ শতাংশের বেশি কর্মকর্তা অফিস করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সঙ্গে ভিডিওকলে যুক্ত হয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিষেধাজ্ঞাসহ স্বল্প পরিসরের সরকারি অফিস খুলেছি। অনেক বেসরকারি আধা-সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। আমাদের ১৮টি মন্ত্রণালয় স্বল্পপরিসরে এতদিন চালু ছিল। রোববার প্রথম দিন আমরা সচিবালয়ে যে চিত্র দেখেছি অধিকাংশ মন্ত্রণালয়, যেভাবে আমরা বলেছি যে- বয়স্ক কর্মকর্তারা আসবেন না, অসুস্থ এবং সন্তানসম্ভবা নারী কর্মকর্তারা আসবেন না, সেটা আমরা মেইনটেইন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘রোববার ছিল প্রথম দিন, অনেকগুলো মন্ত্রণালয় অত্যন্ত কম সংখ্যক কর্মকর্তা নিয়ে, যারা বিভিন্ন জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাস করছেন, তাদের আমরা আসতে বারণ করেছি, তারা আসেননি।’
‘দর্শনার্থী যাতে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে না পারে এ জন্য এই ১৫ দিনে কোনো পাস ইস্যু করা হবে না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারপরও আমার কাছে তথ্য আসছে যে, কিছু কিছু মন্ত্রণালয়ে হয়তো প্রয়োজনের তুলনায়… আমরা কেবল শুরু করছি, অল্প প্রয়োজনে স্বল্প পরিসরে অফিসে আসার জন্য বলা হয়েছে।’
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রণালয়গুলোকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, অত্যাবশ্যকীয় যে কাজগুলো আছে এখন আমরা সেই কাজগুলো করতে চাই। সেক্ষেত্রে চার ভাগের এক ভাগ (২৫ শতাংশ) বা পাঁচ ভাগের এক ভাগ (২০ শতাংশ) কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন। যারা অসুস্থ আছেন, তারা ঘরে বসে কাজ করবেন তারা অফিসে আসবেন না, এভাবে আমরা সাজিয়েছি। যাতে কেউ এখানে ইনফেক্টেড না হন।’
‘যারা একটু দূরে থাকে যারা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকে আমরা তাদের আমরা শনাক্ত করেছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি কিছু কিছু মন্ত্রণালয়ে কোনো কোনো কর্মকর্তার প্রয়োজন ছিল না তারপরও তারা এসেছে। তাদের কোনো কাজ ছিল না। তাদের কাছে বার্তা ঠিকমতো পৌঁছায়নি।’
করানোর সংক্রমণ এখন সর্বোচ্চ একটি অবস্থায় আছে জানিয়ে ফরহাদে হোসেন বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের কাজগুলো করতে হবে। প্রথম দিন আমরা দেখলাম আমাদের অবজারভেশনে কিছু ত্রুটি পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এই ১৫ দিনে আমরা ট্রায়াল অ্যান্ড এরর বেসিসে কাজ করব। আজ যে ভুলগুলো হয়েছে কাল যাতে সেই ভুলগুলো না হয় সেটাই আমরা করতে চাই।’
মার্চ মাসের শুরুতে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম ধরা পড়ে। পরিস্থিতি ক্রম অবনতির দিকে যেতে থাকলে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী টানা ৬৬ দিনের ছুটি গত শনিবার (৩০ মে) শেষ হয়।
বিভিন্ন শর্তপালন ও নির্দেশনা মানা সাপেক্ষে গতকাল রোববার (৩১ মে) থেকে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত অফিস খুলে দিয়েছে সরকার।