এখন থেকে ব্যাংকের পাশাপাশি আলাদা কোম্পানি খুলে এটিএম বুথ সেবা দেওয়া যাবে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটর (পিএসও) হিসেবে লাইসেন্স নিয়ে কোম্পানি গঠন করতে হবে। আর এধরনের কোম্পানির ন্যূনতম মূলধন হবে ৪৫ কোটি টাকা। ন্যাশনাল পেমেন্টে সুইচের (এনপিএস) আওতায় থাকা ওইসব এটিএম বুথ থেকে সব ব্যাংকের গ্রাহক নির্ধারিত চার্জ দিয়ে লেনদেন করতে পারবেন।
আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করা হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, এটিএম সেবার জন্য আলাদা কোম্পানি গঠনের আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। আর অনুমোদনের বেশ কিছু শর্ত পরিপালন করতে হবে। প্রথমেই তিনবছরের একটি কর্মপরিকল্পনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগে জমা দিতে হবে। যেখানে প্রতিবছরে অন্তত একশ’টি এটিএম বুথ এবং এক হাজার পয়েন্ট অব সেলস (পস) স্থাপনের পরিকল্পনা থাকবে। এটিএম বুথ স্থাপনের ক্ষেত্রে শহরে একটি বুথের বিপরীতে গ্রামে অন্তত তিনটি বুথ স্থাপন করতে হবে। আর শহর গ্রাম বিভাজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের নীতিমালায় উল্লেখিত বিভাজনকে বিবেচনায় নিতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ব্যাংকের বিদ্যমান এটিএম বুথ ওই ব্যাংকই পরিচালনা করবে। কোনো ব্যাংক চাইলে নতুন বুথ স্থাপনেও কোনো বাঁধা নেই। তবে এটিএম সেবায় আগ্রহী কোম্পানিকে নতুন করেই বুথ স্থাপন করতে হবে। বিদ্যমান কোনো ব্যাংকের বুথ এসব কোম্পানি কিনতে পারবে না। কোম্পানির মাধ্যমে স্থাপিত এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন, বিল পরিশোধ, টাকা স্থানান্তর, ব্যালেন্স জানা যাবে। পসের মাধ্যমে রিটেইল কেনকাটা ও দোকানের বিল পরিশোধ করা যাবে।