ঢাবিতে আজ থেকে আর করোনার পরীক্ষা হচ্ছে না

ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাবিতে করোনার পরীক্ষা

সাধারণ ছুটি তুলে নেয়ায় পর গতকাল রবিবার থেকে সীমিত পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজ শুরু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আর তাই করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সোমবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা ভাইরাসের আর কোন নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

এর আগে গত ৫ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেস (সিএআরএস) ভবনে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য তৈরি ল্যাবের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তখন থেকে এ ল্যাবে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ নমুনা পরীক্ষা করা হতো।

সংশ্লিষ্ট সুত্র থেকে জানা যায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া কিট, পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক খরচে চলত এই নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ জন শিক্ষক ও ১৭ জন শিক্ষার্থী ল্যাবটিতে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় কাজ করছিলেন। শিক্ষকরা স্বেচ্ছায় কাজ করলেও প্রতি মাসে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে ।

নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম বন্ধ করার পিছনে ল্যাব পরিচালনায় আর্থিক সংকট, নিরাপত্তাহীনতা, গবেষণাগারের যন্ত্রপাতি একাডেমিক কাজে ব্যবহারকে কারণ হিসেবে দেখাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস রেসপন্স টেকনিক্যাল কমিটি।

তবে উপাচার্য বলছেন, অর্থিক সংকট রয়েছে ঠিক তবে সেটা মূখ্য বিষয় নয়। আমাদের দাপ্তরিক কাজ শুরু হয়েছে তাই আমরা নমুনা পরীক্ষা আর করছি না।

উপাচার্য বলেন, আমরা একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই এ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। আর্থিক কারণে নয়, আমাদের আগে থেকেই কথা ছিল ৩১ মে পর্যন্ত আমরা এটা চালিয়ে যাব । গত ২৭ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের এটা তো বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল নয়। আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণায় সময় দিতে হবে। ল্যাবের আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি আমাদের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। এগুলো এখন সেখানে গবেষণার কাজে প্রয়োজন হচ্ছে। সেগুলো এখন জীবাণুমুক্ত করে আবার সেখানে স্থাপন করতে হবে। মূলত এজন্যই করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার কাজটা আর করা হচ্ছে না।

এদিকে গত শনিবার (২৩মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের একদল গবেষক বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে স্থাপিত কোভিড-১৯ গবেষণাগার থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পাঁচটি ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছেন বলে দাবি করেন। প্রয়োজনীয় অর্থসংস্থান সাপেক্ষে ধাপে ধাপে আরও ১০০টি ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হবে বলেও জানান তারা।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে